ধীমান রায়, কাটোয়া: রেললাইনের ধারে পড়ে বধূর রক্তাক্ত দেহ। পাশেই পড়ে আরও এক যুবকের নিথর দেহ। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়ার দাঁইহাট এলাকায়। বধূর দাবি,”ট্রেনে একজন আমার সোনার দুল ছিনতাই করতে এসেছিল। তখন ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ট্রেন থেকে ঠে লে ফেলে দেওয়া হয়।” কিন্তু তার পাশে ওই যুবকের দেহ কোথা থেকে এল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি ওই বধূ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা দিয়েছে, মহিলার নাম রাধিকা মণ্ডল। তাঁর স্বামী মিঠুন মণ্ডল ও মেয়ে সায়নীকে নিয়ে ঘর ভাড়া করে মাধবীতলায় থাকেন। স্বামী মিঠুন ওষুধের দোকানের কর্মচারী। বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ নবদ্বীপ যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাধিকা। বলেছিলেন, ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক ওষুধ কিনতে নবদ্বীর যাচ্ছেন। দোকান থেকে ছুটি নিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন মিঠুন। রাত নটা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেননি রাধিকা। স্বামী ফোন করতেই জানান, বাড়ি ফিরছেন। স্বামীকে দই এনে রাখতে বলেন। এর পর রাত ১১টা বেজে গেলেও বাড়ি আসেননি।
[আরও পড়ুন: ECL’র খোলামুখ খনিতে নেমে বিপত্তি! রানিগঞ্জে নিখোঁজ অন্তত ৭]
তাঁকে ফের ফোন করেন মিঠুন। ফোন ধরে রাধিকা জানান, কেউ তাঁকে ছুরি মেরেছে। কোথাও একটা তিনি পড়ে রয়েছেন। কিন্ত কোথায় রয়েছেন তা জানাতে পারেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে স্ত্রীয়ের খোঁজ শুরু করেন মিঠুন। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি। রাত ২টো নাগাদ পুলিশে খবর দেন। তার পরেও খোঁজ মেলেনি রাধিকার।
এদিন সকালে কাটোয়া-দাইহাঁটের মাঝে বেড়াগ্রাম এলাকার রেললাইনের পাশে দুজনকে পড়ে থাকতে দেখে জিআরপি এসে উদ্ধার করেন। রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। জানা গিয়েছে, পাশে পড়ে থাকা যুবক ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। এদিন ট্রেনে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে উঠেছিল সে। হাতাহাতির সময় কোনওভাবে পড়ে যায়।