সুব্রত বিশ্বাস: প্রাক রজঃস্বলা কুমারীকে দীপাবলির রাতে বলি দিলে সিদ্ধ তান্ত্রিক হওয়া সম্ভব। পেশায় কাঠমিস্ত্রি শিবকুমারের ধারণা এমনটাই। ধারণাকে বাস্তবায়িত করতে চেষ্টার কসুর করেনি। দীপাবলির আগেই নির্বাচন করে রাখে সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে বলি প্রদানের জন্য। সোমবার দীপাবলির দিন অমাবস্যা শুরু হতেই শিকারের সন্ধানে হানা দেয় সেই বালিকার বাড়িতে। তার বাবার হাতে ধরিয়ে দেয় মদের বোতল। বাবা মৌতাতে আচ্ছন্ন হতেই সাত বছরের মেয়েকে ডালমুট দেওয়ার অছিলায় ছাদে নিয়ে যায় সেই কাঠমিস্ত্রি।
এরপর ধর্ষণের চেষ্টা করতেই কিশোরীর গগনভেদী চিৎকারে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সেই মিস্ত্রি। ছাদ থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয় নিচে। সাত বছরের ছোট্ট শরীরটা গিয়ে পড়ে জমা করা গোবরের মধ্যে। হাবুডুবু খেয়ে শরীরটা যখন সেখান থেকে কোনও মতে ওঠার চেষ্টা করছে, তখন শক্ত হাতে তাকে মুঠোয় করে তুলে আনে সেই মিস্ত্রি। এরপর বাড়ির অদূরে ধর্ষণ করা হয় তাকে। তার পরেও অবশ্য নিস্তার মেলেনি। গলা টিপে তাকে খুন করে কাঠমিস্ত্রি শিবকুমার।
[আরও পড়ুন: বহু টালবাহানার পর টুইটার কিনলেন এলন মাস্ক, দায়িত্ব নিয়েই ছাঁটাই পরাগ আগরওয়ালকে]
দীপাবলির (Diwali 2022) রোশনাইয়ে এতবড় ক্ষতির কথা জানতেই পারেনি মেয়েটির বাবা। তখন মদের নেশায় বিভোর সে। মেয়েটির মাও টের পায়নি। এরপর খোঁজাখুঁজির পর রাতেই মৃত মেয়ের দেহের সন্ধান পায় প্রতিবেশীরা। এরপর বিষয়টি অনুমান করে শিবকুমারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির বাবা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে হরিয়ানার পানিপথের পুলিশ। ততক্ষণে অভিযুক্ত শিবকুমার ধাঁ।
পুলিশ জানতে পারে, মঙ্গলবারই হাওড়াগামী কালকা মেলে (Kalka Mail) চড়ে পালাচ্ছে সে। এরপরই বিমানে কলকাতার পথে রওনা দেয় হরিয়ানা পুলিশের বিশেষ দল। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ হাওড়া জিআরপির কাছে আসে ওই দলটি। অভিযুক্তের ফটো দিয়ে বিস্তারিত জানায়। হাওড়া জিআরপির ওসি সিদ্ধার্থ রায়ের তৎপরতায় বধর্মানে সাদা পোশাকে পাঠানো হয় একটি দল। এএসআই তুষারকান্তি সাহার নেতৃত্বে কালকা মেল থেকেই আটক করা হয় অভিযুক্তকে। হাওড়া আসার পর গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া শিশুটির পরিবারে।