বাবুল হক, মালদহ: মারধর করতেন দাদা। সেই ক্ষোভেই মালদহে (Malda) নাবালিকা ভাইঝিকে গলা কেটে খুন কাকার। প্রকাশ্যে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শ্রীকান্ত কেশরী।
মালদহে নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে হাড়হিম করা তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। পুলিশের দাবি ধৃত জানিয়েছে, নাবালিকার বাবা প্রায়ই তাকে মারধর করত। যা মোটেই ভাল লাগত না অভিযুক্তের। নাবালিকার বাবাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল যুবক। সেই কারণে ভাইঝিকে হত্যার ছক কষে। জানা গিয়েছে, প্রথমে নাবালিকাকে যুবক জানিয়েছিল তার একটি ছবি তোলা হবে গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে। সেই ছবি তার বাবাকে পাঠানো হবে ভয় দেখাতে। কিছু না বুঝেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে নাবালিকা, চলে যায় ধৃতের সঙ্গে। এর পর গলায় ছুরি ধরে ছবি তোলার অছিলায় মুন্ডচ্ছেদ করে অভিযু্ক্ত।
[আরও পড়ুন: ৪৩ বিধায়ককে হায়দরাবাদে সরানোর ছক কষেও ব্যর্থ চম্পাই! শেষ মুহূর্তে বাতিল বিমান]
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “এটি কুসংস্কারের বশে নরবলির ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পনামাফিক খুনের ঘটনা। ধৃত যুবক মেয়েটির সম্পর্কে কাকা। মেয়েটির বাবা নাকি তাকে মারধর করেছিলেন। সেই বদলা নিতেই মেয়েটিকে সে অপহরণ করে খুন করেছে বলে পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে।” প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভরসন্ধ্যায় বাড়ির উঠোন থেকেই উধাও হয়ে যায় মালদহ শহরের বালুচর এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। তদন্তে নেমে উত্তর বালুচর এলাকার রাস্তাঘাটের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ। পরিবারের তরফেও পুলিশকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দেওয়া হয়। এর পরই গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীকান্তকে। তাকে চেপে ধরতেই প্রকাশ্যে আসে নৃশংস এই ঘটনা।