সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই বন্ধুকে সুপারি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত জেরায় খুন ও হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। তবে বাকি দুই বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ আগস্ট একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় দুর্গাবতী শর্মা নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনায় তাঁর স্বামী হেমন্ত শর্মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু হেমন্তের বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি, তাঁকে আটক করে জেরা করতেই সত্যি বেরিয়ে আসে। ধৃত স্ত্রীকে মারার পরিকল্পনা করেছেন ও বন্ধুরা তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে মেনে নেন বলে দাবি পুলিশের।
[আরও পড়ুন: মিস ইন্ডিয়ায় সংরক্ষণ নেই কেন? প্রশ্ন রাহুল গান্ধীর! ফের ‘বালক বুদ্ধি’ খোঁচা দিল বিজেপি]
কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটালেন হেমন্ত? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে দিনে স্ত্রীর হাত খরচ বাড়ছিল। জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সেই আক্রোশ থেকে স্ত্রীকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার পরিকল্পনা করেন তিনি। এই কাজের জন্য বন্ধুদের আড়াই লক্ষ টাকা দেন হেমন্ত। তারা সেই কাজও করে।
কী হয়েছিল সেই দিন? ঘটনার দিন স্ত্রী ও তাঁর ভাইকে নিয়ে স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে যান হেমন্ত। দুর্গাবতী ও তাঁর ভাই সন্দেশ বাইকে ছিলেন। আলাদা ছিলেন হেমন্ত। সেই সময় দুর্গাবতীদের বাইকে ধাক্কা মারে একটি এসইউভি। গুরুতর জখম হন দুর্গাবতী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছে, দুর্গাবতী হেমন্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। দুর্গাবতীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই হেমন্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে অন্যত্র বিয়ে হয় দুর্গাবতীর। অন্য দিকে, হেমন্তও ২০২২ সালে বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিলই।কিন্তু ২০২৩ সালে স্বামীকে ছেড়ে তাঁর পুরনো প্রেমের টানে চলে আসেন দুর্গাবতী। হেমন্তকে বিয়েও করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই দুর্গাবতী আর হেমন্তের সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।সেই থেকেই এই খুনের পরিকল্পনা বলে মনে করছে পুলিশ।হেমন্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাঁর দুই বন্ধু এখনও পলাতক।