সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন মা। এই সন্দেহেই নৃশংসভাবে সেই নিরাপত্তারক্ষী খুন করে তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল অনুপম তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত সিদ্ধার্থ মিশ্র ছিলেন দালিগঞ্জের বাসিন্দা। বয়স ৩৪ বছর। মহানগরের একটি বাঁধের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি অনুপমের। অসুস্থ বাবা শয্যাশায়ী। ঝামেলা এড়াতে তাই আলাদা থাকতেন অনুপম। তবে তিনি জানতে পারেন তাঁর মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে সিদ্ধার্থর। এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁরা। যা ছেলে হয়ে একেবারেই মেনে নিতে পারেননি অনুমপ। রাগে ও অবসাদে শেষমেশ চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ট্রলিব্যাগে মায়ের দেহাংশ নিয়ে থানায়! বাংলার তরুণীর কাণ্ডে শিহরিত বেঙ্গালুরু পুলিশ]
ডিসিপি সেন্ট্রাল অপর্ণা রজত কৌশিক জানান, রাগের বশেই কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সিদ্ধার্থর উপর চড়াও হন অনুমপ। সেই অস্ত্র দিয়েই সিদ্ধার্থর গোপনাঙ্গ কেটে নেন অনুপম। নিরাপত্তারক্ষী সিদ্ধার্থর মাথাতেও চোট লাগে। যে জায়গা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। সিদ্ধার্থর ভাই বিন্দু মিশ্রর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনুপমকে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত অনুপম স্বীকার করেছেন যে মায়ের সঙ্গে সিদ্ধার্থের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই মেজাজ হারিয়েছিলেন। অনেকদিন ধরেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করছিলেন। শেষে খুনের দিন সিদ্ধার্থকে মদ্যপানের প্রস্তাব দেন। রাজি হয়ে যান সিদ্ধার্থ। তাঁকে নিয়ে বাঁধের ধারে বসে মদ্যপানের সময়ই তাঁর উপর হামলা করেন অনুপম। সিদ্ধার্থের গোপনাঙ্গ কেটে তাঁকে মেরে চম্পট দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি।