সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করেছেন। সেখানেই শেষ নয়, টুকরো করে কুচিয়েছেন কন্যার দেহও। মেয়ের দেহের টুকরো নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল গুজরাটের (Gujarat) ওই অভিযুক্তকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রচুর ক্রাইম সিরিজ দেখেই স্ত্রী ও কন্যাকে খুনের ছক কষেছিল ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম যোগেশ মেহতা। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে গুজরাটের বাসিন্দা যোগেশের সংসার। প্রায়শই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকত তাঁর। গত শনিবারও এমন ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে। রাগের বশে মাথায় হাতুড়ি মেরে স্ত্রীকে খুন করেন যোগেশ। একটি বস্তার মধ্যে মৃতদেহ পুরে রেখে দেন এই দৃশ্য দেখে ফেলে তাঁর ছোট মেয়ে। কীভাবে এহেন ‘অপরাধে’র শাস্তি দেওয়া যায়, তার ছক কষতে থাকে যোগেশ।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন অতিসক্রিয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন]
স্ত্রীকে খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছোট মেয়েকে খুন করেন তিনি। একটি ঘরের মধ্যে বড় মেয়েকে আটকে রেখে ছোট মেয়েকে খুন করেন। তারপরে মৃতদেহের দশটি টুকরো করেন। নর্দমায় কয়েকটি টুকরো ফেলেও দেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে ভেসে আসা সেই দেহাংশ দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তল্লাশি চালিয়ে তার মাথা ও পায়ের কিছুটা অংশ পাওয়া গিয়েছে। এখনও বাকি দেহাংশের খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
জোড়া খুন করেও একেবারে নির্লিপ্ত ছিল যোগেশ। সন্দেহের বশে তাকে জেরা করতে থাকে পুলিশ। তখনই ভেঙে পড়ে সমস্ত অপরাধ স্বীকার করে নেয় সে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে। খুনের অস্ত্রগুলিও উদ্ধার হয়েছে।