সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোর সন্দেহে গণপিটুনি যোগীরাজ্যে। আলিগড় (Aligarh) শহরের মামা ভঞ্জ এলাকায় ৩৫ বছরের মহম্মদ ফরিদ আলিয়াস ঔরঙ্গজেব নামের যুবককে পিটিয়ে মারল উত্তজিত ভিড়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। গণপিটুনি নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পোশাক ব্যবসায়ী মুকেশ চন্দ মিত্তলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় মহম্মদ ফরিদকে। মিত্তলের ছেলে রোহিত ফরিদকে দেখে বলে দাবি। এর পরেই চোর সন্দেহে মিত্তল পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং আরও কয়েক জন স্থানীয় হামলা চালান ফরিদের উপরে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নির্মম ভাবে বুকে-পেটে-চোখে-মুখে লাথি ও ঘুসি মারা হচ্ছে যুবককে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ফরিদকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিসকরা জানান, ইতিমধ্যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাড়ে চার দশকের অপেক্ষার অবসান, রথের পরই খুলবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার!]
আলিগড়ে গণপিটুনির ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। অখিলেশ যাদবের সমজাবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং খুন হওয়া মহম্মদ ফরিদের পরিবারের সদস্যরা অবস্থান বিক্ষোভ করে। আরও তিন অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবি জানান তাঁরা। এদিকে বজরং দল হুমকি দিয়েছে, পুলিশ 'চোরের রক্ষক'দের আড়াল করলে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করবে। সব মিলিয়ে মামা ভঞ্জ এলাকায় উত্তেজনা কমার বদলে বাড়াছে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন। গণপিটুনি যেখানে ঘটেছিল, রেলওয়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: নারকীয় দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু!]
আলিগড়ের পুলিশকর্তা মৃগাঙ্ক শেখর পাঠক বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে গান্ধী পার্ক থানায় ৩০৩ ধারায় (খুন) মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাকিদের খোঁজ চলছে। একজন অপরাধীকেও রেয়াত করা হবে না।