সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোকা ইএসআইতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়েছিলেন সাধারণ এক মহিলা। এবার এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। চেক আপের পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিলেন দু-তিনজন। বিদ্রুপ করা হল ‘গরুচোর’ বলেও। রোগীর আত্মীয়দের সাফ কথা, “সবাই বলছে তাই আমরাও বলেছি।”
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এসএসকেএমে হাসপাতালে (SSKM Hospital) ঢোকেন অনুব্রত। দীর্ঘক্ষণ তাঁর চেকআপ চলে। কিন্তু কিছু ক্রনিক সমস্যা ছাড়া বিশেষ কিছু ধরা পরেনি। ফলে মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করতে চায়নি। চেক আপ হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ ২১৬ নম্বর কেবিনে বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলেন তিনি। বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন রোগীর আত্মীয়রা।
[আরও পড়ুন: খুন নাকি আত্মহত্যা? লেকটাউনে শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় ব্যারিকেডের বাইরে থেকে রোগীর আত্মীয়রা স্লোগান দিতে থাকেন। তিন-চারজন আত্মীয় মিলে অনুব্রতকে লক্ষ্য করে ‘চোর, চোর, চোর’, গরুচোর’ বলে বিদ্রুপ করতে শুরু করেন। কেন এমন করলেন জানতে চাইলে, তাদের সপাট জবাব, “সবাই বলছে। সিবিআই ডেকেছে। চুরি করেছে শুনেছি। সবাই বলছে তাই আমরাও বলেছি।”
উল্লেখ্য, আমজনতা সরকারি হাসপাতালে সহজে বেড পান না। লাইন পেরিয়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে হয়। অথচ ভিআইপি নেতাদের জন্য আগেভাগে কেবিন বুক থাকে। তাঁদের চিকিৎসার স্বার্থে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা অনেক সময় ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের। এদিনও অনুব্রতর এসএসকেএমে আসা নিয়ে সেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি-জেডিইউর, বিহার সরকার ভাঙার ছক কষছেন অমিত শাহ?]
প্রসঙ্গত, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন জোকা ইএসআইতে শারীরিক পরীক্ষা করাতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়েছিলেন এক মহিলা।