অর্ণব আইচ: ইনস্টাগ্রাম (Instagram) সস্তায় নামী ব্র্যান্ডের সামগ্রী পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাইবার প্রতারণার (Cyber Crime) ফাঁদ। তদন্ত করে এক যুবককে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম রাজেশ মল্লিক। কলকাতায় বসে একটি চক্র এই ধরনের প্রতারণা চালাচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই চক্রটি মূলত ইনস্টাগ্রাম মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছে জালিয়াতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। সেখানে তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের জিনিসে লোভনীয় অফার রয়েছে, খুবই সস্তায় মিলবে সেসব। দেওয়া থাকে একটি হোয়াটস অ্যাপ (WhatsApp) নম্বর। আগ্রহী ক্রেতাদের সেই নম্বরে যোগাযোগ করে বলা হয়। কেউ যোগাযোগ করলে তিনি প্রতারণার ফাঁদে পড়েন।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন সুপারম্যান! সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার কলকাতা পুলিশের অস্ত্র ‘সাই ব্রো’]
প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে ওই ক্রেতাকে ৫০০ বা ১০০০ টাকা দিতে বলা হয়। সেই টাকা দেওয়ার পরও নামী ব্র্যান্ডেড জিনিসটি আর হাতে আসে না। এভাবে অনেকের কাছ থেকেই প্রচুর টাকা হাতানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে প্রতারিত হচ্ছেন, তা ঠিকমত বুঝতে না পারায় সেভাবে কেউ অভিযোগ জানাতে আসেননি।
[আরও পড়ুন: এলন মাস্কের কি টুইটার ছেড়ে দেওয়া উচিত? প্রকাশ্যে নেটিজেনদের ভোটের ফল]
কিন্তু সূত্র মারফৎ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন যে এভাবে জালিয়াতি চক্র চলছে শহরে। রবিবার গভীর রাতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার (ARS) আধিকারিকরা এই চক্রের মাথা রাজেশ মল্লিককে গ্রেপ্তার করেন। তাকে জেরা করে চক্রের বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাইবার জালিয়াতিতে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন পদ্ধতি আনছে প্রতারকরা। তা যে আসলে জালিয়াতি চক্র, তা বুঝতেই বেশ খানিকটা সময় লাগে। এই ঘটনাও তেমনই। তবে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ সতর্ক থাকায় কোনও অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগেই প্রতারককে জালে আনল পুলিশ।