অর্ণব আইচ: খোদ কলকাতায় (Kolkata) ফের ছুরিকাহত দম্পতি। রবিবার রাতে বাজার সেরে বাড়ি ফেরার সময় ঠাকুরপুকুরে স্বামী-স্ত্রীর গলায়, মুখে ছুরির কোপ মেরে পালিয়ে যায় এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পালানোর সময় সে হুমকি দিচ্ছিল – ”দু’জনকে মেরে এসেছি, সামনে কেউ আসলে আবার মেরে দেব।” এরপরই নিজের বাড়িতে ঢুকে যায়। ঘটনার পর ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) থানার পুলিশ ওই আততায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনা রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ। ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে করে নিজেদের বাড়ি ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরে ফিরছিলেন অমিত দিন্দা ও সীমা দিন্দা। যখন তাঁরা পানে আরার কাছে পৌঁছন, সেসময়ই আচমকা হামলা। সঞ্জু সাহা নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অমিতের গলায় ও সীমার মুখে আঘাত করে বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ছুরিকাহত (Stabbed) হয়ে মাটিতে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন দম্পতি।
[আরও পড়ুন: বিধানসভার ভোটার তালিকাই পুরভোটে তৃণমূলের ‘হ্যান্ডবুক’! শুরু নাম মেলানোর কাজ]
রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, দু’জনে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। পরবর্তী সময় স্থানীয় যুবকরা আততায়ীকে ধাওয়া করেন এবং আততায়ী সেসময় হুমকি দিতে থাকে। বলতে থাকে – ”দু’জনকে মেরে এসেছি, সামনে কেউ আসলে আবার মেরে দেব।” তারপর সে নিজের বাড়িতে ঢুকে যায়। পরবর্তীকালে স্থানীয় লোকেরা আততায়ী সঞ্জু সাহার ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে রেখে দিয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেয়।
[আরও পড়ুন: সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ, রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে TMC, তীব্র উত্তেজনা]
অমিত ও সীমাকে আহত অবস্থায় ঠাকুরপুকুরের কস্তুরী হাসপাতাল এবং এসএসকেএমে (SSKM) নিয়ে যাওয়া হয়। ঠাকুরপুকুর থানা পুলিশ আততায়ীকে গ্রেপ্তার করে। তবে কী কারণে আততায়ী এই স্বামী ও স্ত্রীর উপর আক্রমণ করল, তা পরিষ্কার নয়। তবে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও বেশ কয়েকজনের উপর এভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।