সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটের ভিতর আস্ত একটা মোবাইল ফোন (Mobile Phone)! এক্স-রে, স্ক্যানে এই ছবি দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যা দেখছেন, ঠিক দেখছেন তো? ধোঁয়াশা কাটল রোগীর স্বীকারোক্তিতে।
পেটের ব্যথায় কাতর রোগী জানালেন, সত্যিই তিনি একটি আস্ত মোবাইল ফোন ‘গিলে ফেলেছিলেন’। কিন্তু পরে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। ভেবেছিলেন, শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়, রেচন পদার্থের মাধ্যমে ওই ফোন তাঁর শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসবে আপনা হতেই। কিন্তু ‘বেয়াদপ’ ফোনটি তাঁর কথা শোনেনি। থেকে গিয়েছে ভিতরেই। ছ’মাস ধরে। পেটের ভিতরে আটকে থেকে বাধা দিয়েছে খাবারের গতিপ্রবাহকে। ফল? সাংঘাতিক, অসহনীয় পেটে ব্যথা।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিবিদের মাইকে সমস্যা, ক্ষমাপ্রার্থী আয়োজক চিন]
এরপরই হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছিল মিশরের বাসিন্দা, ওই ব্যক্তিকে (নাম প্রকাশ করা হয়নি)। ব্যথার উৎসের স্বাভাবিক কোনও কারণ প্রথমে সামনে না আসায় চিকিৎসকরা তাঁর পেটের এক্সরে—স্ক্যান করেন। তখনই বোঝা যায় প্রকৃত সত্য। পেটে মোবাইল ফোন আটকে রয়েছে দেখে তড়িঘড়ি চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রোপচারের। কারণ ছ’মাস পেটে ফোনটি আটকে থাকায় ওই ব্যক্তির পেটে বিশেষ করে অন্ত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল।
মিশরের আসওয়ান শহরের একটি হাসপাতালে (আসওয়ান ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল) অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করে ফোনটি বের করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে হাসপাতালে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড, আসরাফ মাবাদ জানান, ছ’মাস আগে মোবাইল গিলে ফেলায় খাদ্যগ্রহণে সমস্যা হচ্ছিল। তবে অস্ত্রোপচারের পর সেই সমস্যা বন্ধ হয়েছে। জীবনদায়ক অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক-টুইটার নিষিদ্ধ করেছে তাতে কী! নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া আনছেন ট্রাম্প]
ওই হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের চেয়ারম্যান, মহম্মদ আল-দাহশৌরি জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে এই প্রথম। কিন্তু আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।