সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে শেষ হচ্ছে গ্লেজার জমানা! বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবের মালিক হছেন কাতারের ধনকুবের শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি (Sheikh Jassim bin Hamad Al Thani)। ইউনাইটেড অধিগ্রহণের লক্ষ্যে তাঁর পঞ্চম তথা চূড়ান্ত প্রস্তাবে রাজি হয়েছে গ্লেজার পরিবার। এমনটাই দাবি কাতারের (Qatar) ওই ধনকুবেরের ঘনিষ্ঠ এক সংবাদ মাধ্যমের।
সেই ২০০৫ সাল থেকে গ্লেজার পরিবার (Glazers Family) ক্লাবের মালিক। ১৮ বছরের সেই সম্পর্কও এবার শেষ হতে চলেছে। আসলে গত কয়েকবছর ধরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। বলা ভাল, নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারেনি ঐতিহ্যশালী ক্লাবটি। সাফল্য ছিল না। ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। আকণ্ঠ দেনায় ডুবে গিয়েছিল ক্লাব। শেষে গতবছর নভেম্বরে ক্লাব বিক্রির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে গ্লেজার পরিবার।
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপ জেতার থেকেও কঠিন আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া’, রোহিতের হয়ে ব্যাট ধরলেন সৌরভ]
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) মতো বিখ্যাত ক্লাবের মালিকানা পেতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বহু ধনকুবের। এমনকী অ্যাপলের মতো একাধিক বিখ্যাত সংস্থাও ম্যান ইউ কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে ছিলেন কাতারের শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি এবং ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার জিম র্যাটক্লিফ। তবে র্যাটক্লিফের প্রস্তাবে অখুশি ছিলেন সমর্থকরা। বোর্ডের একটা অংশও তাঁর প্রস্তাব মানতে চায়নি। আসলে তিনি চাইছিলেন ক্লাবের ৬০ শতাংশ মালিকানা নিজের হাতে রাখতে। বাকিটা গ্লেজার পরিবারের হাতেই ছাড়তে চাইছিলেন ওই ব্রিটিশ ধনকুবের। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘রোহিত এখন খারাপ ব্যাটসম্যান হয়ে গেল?’ সমালোচনায় জেরবার ছাত্রের পাশে দাঁড়ালেন গুরু]
তবে কাতারি ধনকুবের পুরোপুরি ক্লাবের ১০০ শতাংশ মালিকানা কিনতে আগ্রহী ছিলেন। ক্লাবের সব দেনা মিটিয়ে আবারও বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফুটবল দলগুলির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতিও ছিল তাঁর প্রস্তাবে। শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাবই গৃহীত হল। এর ফলে ১৭ বছর পর ব্যাটন বদল হবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। সমর্থকরাও খুশি। কারণ প্রতিবেশী ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটির (Manchester City) ভাগ্য কীভাবে আরবেরই শেখ মনসুরের হাত ধরে বদলে গিয়েছে, সেটা তাঁরা দেখেছেন। এবার ম্যান ইউও কাতারি ধনকুবেরের হাত ধরে ফের জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে, আশাবাদী রেড ডেভিলরা।