গোবিন্দ রায়: আয়ু আর মাত্র ২ বছর! এই যুক্তি দেখিয়ে ফের হাই কোর্টে জামিনের আর্জি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের। ইডির কাছে আদালতের প্রশ্ন, কেন এখনও আটকে রাখা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জামিনের আবেদন জানিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেনি। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ওই জামিন মামলার ত্রুটি সংশোধন করে হাই কোর্টে আবেদন করতে হবে। সেই মতো উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে মামলা করেন মানিক। তিনি কোনও আইনজীবী নিয়োগ করেননি। নিজেই নিজের জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করেন তৃণমূল বিধায়ক। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে জামিনের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বার বার কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক বলে আর্জি করেন। যুক্তি দেন, "২০১৬ সালে আমার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমি আর ১০ বছর বাঁচব। ওই চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি আমার কাছে রয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে আমি মরে যাব। এর মধ্যে প্রায় দু'বছর জেলে খেটে ফেললাম। এ বার আমাকে জামিন দেওয়া হোক।"
[আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যালের মুকুটে নতুন পালক, চালু উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় আই ব্যাঙ্ক]
এদিকে কীসের ভিত্তিতে মানিককে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে ইডির কাছে সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, "অভিযুক্তকে এখনও আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না?" ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির সওয়াল, মানিকের বিরুদ্ধে বিস্তারিত সওয়াল করতে কমপক্ষে দু'দিন সময় লাগবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পিএমএলএ আইন মেনেই তাঁকে আটকে হয়েছে। এর পর আদালত শুক্রবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।