সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে দাঁড়িয়ে মণিপুরকে তিনি বলেছিলেন ‘জিগর কা টুকরা’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সেই ‘নয়নমণি’ মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে শুরু হল স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের প্রস্তুতি। অস্থায়ী লোহার প্রাচীর তুলে হোর্ডিং লাগিয়ে শুরু হল স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) কুচকাওয়াজের মহড়া। আর তাই গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে অশান্তি চলতে থাকা রাজ্যটিকে মুড়ে ফেলা হল কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। কারণ, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতা দিবস বয়কট করার ডাক দিয়েছে।
রবিবারও মণিপুরের (Manipur) পাঁচটি জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে মণিপুরের নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে খাস রাজধানী ইম্ফলও রয়েছে। বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুর, থুবল ছাড়া পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে এই পাঁচ জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রচুর গোলাগুলি এবং আটটি বিস্ফোরক। এ ছাড়াও এই পাঁচ জেলা থেকে প্রায় ২৭ কেজি ওজনের ২৫টি আফিমের প্যাকেটও উদ্ধার করেছে তারা। এ দিকে মণিপুরে বহু জঙ্গিগোষ্ঠী ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্বাধীনতা দিবসের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মণিপুরের কো-অর্ডিনেটিং কমিটির বহু বেআইনি সংগঠনও স্বাধীনতা দিবসের দিন মধ্যরাত ১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মণিপুরের ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ), পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং প্রিপাক।
[আরও পড়ুন: হিমাচল প্রদেশে হড়পা বানে মৃত অন্তত ১৬, নিখোঁজ বহু, চিন্তা বাড়াচ্ছে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা]
সম্প্রতি সংসদে বাদল অধিবেশে মণিপুর নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, মণিপুরে খুব শীঘ্রই শান্তি ফিরবে। অশান্তির দায় অনেকটাই মণিপুরের পুরনো শাসক কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে মোদি বলেছিলেন, মণিপুর আমার চোখের মণি। মণিপুরের অশান্তির মূলে আদতে জাতিগত দ্বন্দ্ব। ইম্ফলের মোট জনবসতির ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়। এঁদের দাবি তাঁদের তফসিলি উপজাতি হিসাবে চিহ্নিত করা হোক। যদিও মেইতেইদের এই দাবি মানতে নারাজ মণিপুরের পাহাড়ের বাসিন্দা নাগা এবং কুকিরা। মণিপুরের এই দুই উপজাতিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের কিছু বেশি।