শাহাজাদ হোসেন ও বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জেও বিজেপি শিবিরে ভাঙন।বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন নিমতিতার মণ্ডল সভাপতি ও যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি।বিদায়ী বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন তাঁরা। চলতি মাসেই সামশেরগঞ্জে নির্বাচন। তার আগে দলের শক্তি বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তৃণমূল শিবির।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি শিবিরে ভাঙনের ছবি প্রকাশ্যে আসছিল। একাধিক দাপুটে নেতা পদ্ম ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরের পতাকা। তবে সামশেরগঞ্জে (Shamshergunj) বিজেপির সংগঠন সংঘবদ্ধই ছিল। তবে এবার সেখানেও ভাঙন। সোমবার সামশেরগঞ্জে তৃণমূলের তরফে একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ছিলেন সামশেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। সেখানেই বিজেপিতে যোগ দেন নিমতিতার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রঞ্জিত দাস ও যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ সিংহ-সহ মোট ৩৬ জন। ভোটের মুখে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: সমঝোতার বার্তা? বহরমপুরের কংগ্রেসের পুজোর থিমেও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’!]
এদিকে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিমরাজি হওয়ায় বামেদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তাঁর সিদ্ধান্ত জানার পরই স্থানীয় নেতৃত্বকে বাম প্রার্থীর হয়ে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেয় প্রদেশ নেতৃত্ব। এখন সামশেরগঞ্জের প্রার্থী সিদ্ধান্ত পুর্ণবিবেচনার কথা জানাতেই চিন্তায় বাম নেতৃত্ব।
অন্যদিকে সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী থাকলে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী অধীররঞ্জন চৌধুরী। জানা গিয়েছে, যদি জইদুর রহমান মত পরিবর্তন করে প্রচারে নামতে রাজি হন তবে কংগ্রেস কর্মীরা কোমড় বেঁধে নামবেন। কিন্তু রাজি না হলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রার্থী ছাড়াই হাত প্রতীকে ভোট চাইবেন বলে জানান জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা।