shono
Advertisement

বিভেদের রাজনীতি চলছে! দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলে যোগ মেদিনীপুরের বহু BJP নেতা-কর্মীর

দলের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি শাসকদল।
Posted: 07:25 PM Nov 07, 2021Updated: 07:25 PM Nov 07, 2021

সম্যক খান, মেদিনীপুর: বিধানসভা ভোটের (West Bengal Assembly Elections) ফলপ্রকাশের পরই বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙন। একের পর এক তাবড় তাবড় নেতা দল ছেড়েছেন। তথাগত রায়ের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলে থেকেই লাগাতার এমন মন্তব্য করছেন, যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। জেলার এসটি মোর্চার-সহ সভাপতি রামচন্দ্র টুডুর নেতৃত্বে একঝাঁক আদিবাসী নেতা ও কর্মী রবিবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে।

Advertisement

রবিবার তৃণমূলের তরফে নারায়ণগড়ে একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন বহু বিজেপি নেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্র টু়ডু। তাঁর বাড়ি নারায়ণগড়ে। তাঁর হাত ধরে এদিন নারায়ণগড় ব্লকের একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী দল ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এসটি মোর্চার সভাপতি টিপু কিষ্কু, সহ-সভাপতি মন্টু টুডু, ১৫ নম্বর শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ রমানাথ হাঁসদা, ১৭ নম্বর শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ লক্ষ্মীকান্ত গিরি, কালিপদ বাস্কে, সুনীল মণ্ডল, সাহেব মুর্মু, বীরেশ কোটাল, রতন মল্লিক-সহ অন্যান্যরা।

[আরও পড়ুন: কালীপুজোর রাতে কুকুরদের মারধর, বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা! নৃশংসতার সাক্ষী হাওড়া

জানা গিয়েছে, দলত্যাগীরা সকলেই ব্লকের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। ফলে এই দলত্যাগ বিজেপির জন্য ধাক্কার। রবিবার দলবদলের পর রামচন্দ্র টু়ডু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়েই আমরা তৃণমূলে যোগদান করেছি। বিজেপি সাধারণ মানুষ ও আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করছে না। উলটে তাঁরা মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটিয়ে সমাজের ক্ষতি করছে। এরাজ্যের সর্বস্তরে উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে এবং উন্নয়নের সাথী হতে তৃণমূলে এসেছি।”

অপরদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, “বিধানসভা ভোটে হারার পর ফানুসের মতো চুপসে গিয়েছে বিজেপি। ক্ষমতার লোভ দেখিয়েছিল তাঁরা। মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতা-কর্মীদের। তাঁরা বুঝতে পারছেন, কেবলমাত্র বিভেদের রাজনীতি করে ভোটে জেতা যায় না। এর জন্য উন্নয়নমূলক কাজ ও সংগঠন প্রয়োজন। তাই মোহভঙ্গ হওয়া নেতাকর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন।”

[আরও পড়ুন: আব্বাসের সভায় যেতে বাধা, ISF সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস পুলিশের! উত্তপ্ত ভাঙড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement