রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অর্ণব দাস: চলতি সপ্তাহেই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তার আগেও জারি দলত্যাগের হিড়িক। রবিবার গণইস্তফা দিলেন বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন। এদিকে অনুমতি না নিয়ে রাজ্য কমিটিতে নাম রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সংগীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে (BJP) ভাঙন শুরু হয়েছে। তাবড় তাবড় নেতা থেকে দলের সাধারণ কর্মীরাও দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। যোগ দিয়েছেন অন্য দলে। এবার বারাসতের বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। একসঙ্গে ইস্তফা দিলেন ১৫ জন। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে একটি ইস্তফাপত্র লেখেন বিরুদ্ধরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, আশিস মজুমদার, প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়, চিত্ত বসাক, সুভাষচন্দ্র রায়, নীলিমা দে সরকার, সজল দাস-সহ অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেপ্তার তৃণমূল বিধায়কের ‘আপ্ত সহায়ক’]
ইস্তফাপত্রে লেখা হয়েছে, “তাপস মিত্র যেভাবে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দীর্ঘদিনের সক্রিয় ও বরিষ্ঠ কার্যকর্তাদের সমস্ত দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন, তাঁদের যোগ্য সম্মান ও উপযুক্ত সাংগঠনিক স্থান না দিয়ে জেলা সভাপতির কাছের অযোগ্য লোকদের মুড়ি মুড়কির মতো পদ বিলি করেছেন ‘কামিনী-কাঞ্চনের’ বিনিময়ে, যেভাবে অর্থের বিনিময়ে পুরভোটের টিকিট অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়েছেন এবং শাসকদলের নেতাদের অঙ্গুলি হেলনে জেলার সংগঠনকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছেন-যার ফল স্বরূপ বিগত পুরভোটে জেলার চার পুরসভার ১১০ টি সিটের মধ্যে একটিতেও জয়লাভ করতে না পারা ও তৃতীয় স্থানে যাওয়ার লজ্জাজনক হারের প্রতিবাদে জেলা কার্যকরী কমিটি থেকে পদত্যাগ করলাম।”
এ বিষয়ে তাপস মিত্র বলেন, “অফিশিয়ালি বিষয়টি এখনও জানি না। তাই এখনই কোনও মন্তব্য করব না।” এদিকে এবার বেসুরো বিজেপি নেত্রী তথা সংগীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কোনও রকম অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম রাজ্য কমিটিতে রাখায় ক্ষুব্ধ শিল্পী। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে জেপি নাড্ডা ও সুকান্ত মজুমদারকে মেল করেছেন শিল্পী।