সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে মাওবাদী হামলার ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। এরই মধ্যে ফের মাওবাদী হামলা হল ছত্তিশগড়ের সুকমায়। সূত্রের খবর, একদিনের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার হামলা চালাল মাওবাদীরা। ঘটনায় দু’জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে নজরদারি চালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীদের কনভয় টার্গেট করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাও জঙ্গিরা। এর ফলে দুটি গাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। মৃত্যু হয় ‘সি-৬০’ ইউনিটের ১৬ জন কমান্ডোর। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। এছাড়া ওই এলাকায় ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় ৩৬টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা৷ সেই জায়গায় পাঠানো হয়েছিল কুইক রেসপন্স টিমের কমান্ডোদের৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান ডিজিপি, আইজি-সহ গড়চিরৌলির পুলিশ সুপার, কালেক্টর।
[ আরও পড়ুন: অযোধ্যায় ‘মহাজোট’কে আক্রমণ, মোদির ভাষণে উহ্য রামমন্দির ]
এরপর গয়ার বারাছাত্তির কাছে দ্বিতীয়বার নিরাপত্তাকর্মীদের উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। চারটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় তারা। গাড়িগুলি নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।
তৃতীয় হামলাটি হয় ছত্তিশগড়ের সুকমার কিস্তারামে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার হামলা চালায় মাওবাদীরা। ঘটনায় দু’জন গ্রামবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের খুন করা হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকে পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে খুন করেছে মাওবাদীরা।
[ আরও পড়ুন: ‘গান্ধী পদবি কেন?’, ফের সোনিয়াকে বিঁধলেন উমা ভারতী ]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদীদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপরই পরপর তিনটি হামলায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র সরকার যাই দাবি করুক না কেন, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ফের শক্তি বাড়াচ্ছে লাল সন্ত্রাস। নিরাপত্তারক্ষীদের নিশানা করতে নয়া পন্থা নিয়েছে মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, জওয়ানদের বিভ্রান্ত করতে জঙ্গলে কুশপুতুল ছড়িয়ে রাখছে মাওবাদীরা। এই কুশপুতুলের কাছাকাছি এলাকার মাটিতে আইইডি বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল মাওবাদীরা৷ যাতে জঙ্গলে টহলদারির সময় ভুল করে এগুলির উপর নিরাপত্তারক্ষীদের পা পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে৷
The post ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয়বার মাওবাদী হামলা, সুকমায় নিহত দুই গ্রামবাসী appeared first on Sangbad Pratidin.