সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই সংবাদ একদিকে প্রকাশ্য আনল পাকিস্তানের অর্থনীতির দৈন্যদশা, অন্যদিকে টাটা গোষ্ঠীর বিরাট বাজারমূল্য তথা আর্থিক বৈভবকে। সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্টকে ছাপিয়ে গিয়েছে টাটা গোষ্ঠীর বাজারমূল্য। সাম্প্রতিক অতীতে এই গোষ্ঠীর একাধিক কোম্পানির শেয়ার মার্কেটে দুর্দান্ত রিটার্নের কারণে বাড়ছে বৈভব। অন্যদিকে ঋণের বোঝা বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে চরম লড়াই চালাচ্ছে পাকিস্তান।
রিপোর্ট অনুসারে, টাটা গ্রুপের মোট বাজার মূলধন প্রায় ৩৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যা পাকিস্তানের জিডিপির চেয়ে অনেকটাই বেশি। আইএমএফ বা ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের হিসেবে অনুযায়ী ঝড়ঝঞ্ঝা সামলে ৩৪১ বিলিয়ান ডলারে দাঁড়িয়ে পাক অর্থনীতি। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে শুধু টিসিএস-র (TCS) বাজারমূল্যই ১৭০ বিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। আইএমএফের হিসেবে অনুসারে, টিসিএস একাই ঋণে জর্জরিত পাক অর্থনীতির অর্ধেক।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাজ্যের, সংসদীয় কমিটির নোটিসে স্থগিতাদেশ]
টাটার ঝলমলে বৈভবের অন্যতম দাবিদার টাটা মোটরস। যারা কোম্পানিকে বিরাট পরিমাণ লাভের মুখ দেখাচ্ছে প্রতি বছরেই। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি নতুন বছরে লভ্যংশ বেড়ে চলেছে। গত এক বছরে টাটা মোটরসের শেয়ারের দর ১১০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও নিরন্তর লাভের মুখ দেখাচ্ছে টাটা টেকনোলজিস, টিআরএফ, বেনারস হোটেলস, টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন, অটোমোবাইল কর্পোরেশন অফ গোয়া এবং আর্টসন ইঞ্জিনিয়ারিং। শেয়ার বাজারে টাটা গোষ্ঠীর ২৫টি কোম্পানি নথিবদ্ধ। এর মধ্যে মাত্র একটি কোম্পানি টাটা কেমিক্যালের দর পাঁচ শতাংশ কমেছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতার আমন্ত্রণ! উত্তরপ্রদেশে কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মোদির]
অন্যদিকে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই নজিরবিহীন আর্থিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের মাথার উপর ঋণের বোঝা ২৫ বিলিয়ান ডলার। ছেড়া কাঁথার গল্পের মতো ঋণ শোধ করতে ঋণ নিতে হচ্ছে পাক সরকারকে। হাত পাততে হচ্ছে চিন-সহ একাধিক দেশের কাছে। অন্যদিকে পড়শি দেশ ভারতের অর্থনীতি পৌঁছে গিয়েছে ৩.৭ ট্রিলিয়নে। যা পাক অর্থনীতির তুলনায় ১১ গুণ বেশি।