সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোরে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতে খুন হয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার আক্রম খান ওরফে গাজি। এক সপ্তাহের মধ্যেই এবার একই কায়দায় খুন হয়ে গেল জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম সদস্য এবং মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মৌলানা রহিম উল্লাহ তারিক।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, করাচির (Karachi) ওরাঙ্গি শহর এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের গুলিতে নিহত হয়েছে এই জঙ্গি। তারিক একটি ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পুলিশ আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এটি একটি ‘টার্গেট কিলিং’-এর ঘটনা। এবং গাজিকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সে ভাবেই এই খুন। পাকিস্তান (Pakistan) প্রকাশ্যে দাবি করেছে যে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা সক্রিয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
[আরও পড়ুন: ‘বাঙালির রক্ত কি শুকিয়ে গিয়েছে?’, নজরুলগীতি বিতর্কে হুঙ্কার সাংসদ সুখেন্দুশেখরের]
এর আগে করাচির গুলিস্তান এলাকায় খুন হয়েছিল লস্কর জঙ্গি মৌলানা জিয়াউর রহমান এবং মুফতি কাইজার ফারুক। ১০ অক্টোবর, শিয়ালকোটের এক মসজিদে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতেই খুন হয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ নেতা শহিদ লতিফ। ২০১৬ সালে পাঠানকোটে হামলা চালিয়েছিল যে বাহিনী, তাদের প্রধান হ্যান্ডলার ছিল সে। কারা একের পর এক হত্যা করছে লস্কর জঙ্গি নেতাদের? পাক পুলিশের একটি সূত্রের খবর, এর পিছনে স্থানীয় শত্রুদের হাত থাকতে পারে। স্থানীয় কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, যারা লস্করের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহমত নয়। এছাড়া, লস্করের অন্দরেও এখন বেশ ঝামেলা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে।