অর্ণব দাস, বারাসত: অগ্নিকাণ্ডের পর বেশ কয়েকঘণ্টা পেরলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নিউ বারাকপুরের আগুন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয়েছে রোবট ফায়ার ফাইটার। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই কারখানায় আটকে পড়েছেন কমপক্ষে ৪ জন। আগুনের যা তীব্রতা, তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে আচমকাই নিউ বারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকান থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। চমকে ওঠেন তাঁরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকান আগুনের গ্রাসে চলে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে যায় আরও ৪ টি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নেভাতে নামানো হয়েছে রোবট ফায়ার ফাইটার। কারণ, অগ্নিকাণ্ডে গোটা বিল্ডিং তপ্ত হয়ে ওঠায় দমকলকর্মীদের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যারা আটকে পড়েছেন তাদের বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকে বদনাম করতে করোনা ছড়িয়ে দেওয়ার ছক! ফাঁস বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট]
এবিষয়ে সুজিত বসু বলেছেন, “অনেক বড় আগুন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রোবট নামিয়ে ফায়ার ফাইটিং করা হচ্ছে। রাত থেকে কাজ করা হয়েছে। ৫০ হাজার স্কোয়্যারফিট এলাকায় আগুন। কতক্ষণে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসবে বলা যাচ্ছে না।” কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড, এখনও তা জানা সম্ভব হয়নি। করোনা, যশ বা ইয়াস পরিস্থিতিতে এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্কে স্থানীয়রা।