সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। এবার ঘটনাস্থল বড়িশা স্কুল সংলগ্ন বেহালা চৌরাস্তায়। ভস্মীভূত অন্তত ২৪টি দোকান। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি। দমকল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর চারটে। ছুটির দিন রবিবারে তখন ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন প্রায় সকলেই। আচমকাই বেহালা চৌরাস্তার পাশে বাজারে আগুন লেগে যায়। ব্যবসায়ীদের নজরে আসে বিষয়টি। হইচই শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়দের ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তবে ততক্ষণে আগুন প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। এক মূহূর্ত সময় নষ্ট না করে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। এরপর একে একে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
[আরও পড়ুন: ‘পুষ্পা’ সিনেমার কায়দায় পাচারের ছক! পিকআপ ভ্যানে উদ্ধার ৫০০০ বোতল কাশির সিরাপ]
অগ্নিকাণ্ডের জেরে অন্তত ২৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বাজারের ঠিক পিছনেই বড়িশা হাইস্কুল। অগ্নিকাণ্ডে ওই স্কুলটিরও সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে কাচের জানলা। ক্ষতিগ্রস্ত জলের ট্যাঙ্কও। বাজারে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। বেহালা বাজারে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ১০ মার্চ গার্ডেনরিচে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের পরিত্যক্ত বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দোতলা ওই বাড়িটিতে তেল মজুত করে রাখা হত। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে সেনা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। পরে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বেহালা বাজারে আগুন। ক্ষয়ক্ষতির ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।