সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুদামে ঠাসা অ্যালুমিনিয়াম পাউডার। তার থেকে আগুন এবং বিস্ফোরণ তারাতলায়। দফায় দফায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পাঠিয়েও আগুন আয়ত্তে আসেনি। আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পান দমকলকর্মীরা।
[ফেসবুকে ধর্ষণের হুমকি, পুলিশের জালে সল্টলেকের যুবক]
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে। ধীরে ধীরে তা গোটা গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। গুদামের মধ্যে থেকে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। গুদামে প্রচুর রাসায়নিক মজুত বলে জানিয়েছে দমকল। যার পরিমান প্রায় ১৮ টন অ্যালুমিনিয়াম পাউডার। পাশাপাশি ৫ থেকে ৬ টনের মতো রং তৈরির অন্যান্য সরঞ্জামও গুদামে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। তবে গুদামের ভিতরে কেউ আটকে না থাকায় প্রাণহানির কোনও খবর নেই। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে রাসায়নিক পাউডার থাকায় জল দিলে আরও বিস্ফোরণ হতে পারে। এই আশঙ্কায় আগুন নেভাতে আনা হয় বালি এবং ফোম। গুদামের পাশে রয়েছে চায়ের গুদাম। আগুন যাতে অন্যদিকে না ছড়ায় তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হয়। তবে আগুন নেভাতে বেজায় সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় কাজ করতে গিয়ে বেসামাল অবস্থা হয় তাদের। প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। গুদামের চারিদিকে জমা জল থাকায় তাদের কাজের কঠিন হয়ে পড়ে।
[কুপ্রস্তাবে না, অ্যাসিড হামলার শিকার ছাত্রী]
দমকলের এক আধিকারিক জানান, প্রচুর পরিমান অ্যালুমিনিয়াম পাউডার মজুত থাকার কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুন যাতে বাইরে না যায় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর রাম পিয়ারি রামের বক্তব্য, ওই এলাকায় গুদামে যে রাসায়নিক রাখা হচ্ছিল তা তাঁর জানা ছিল না। গোডাউনের জমি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। গুদামে চায়ের বদলে রাসায়নিক রাখার জন্য তিনি পোর্টের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর সংযোজন ঠিকমতো নজরদারি না হওয়ায় এই পরিস্থিতি।