জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ৭ দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে বলে দাবি করেছেন শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবিতে আশার আলো দেখছেন মতুয়ারা। খুশির হাওয়া মতুয়া গড়ে। তাঁদের বিশ্বাস, মন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন হবেই। এত লড়াইয়ের স্বীকৃতি এবার মিলবেই।
মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া গড় ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। সেবছরই বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন ঠাকুরবাড়ির ছেলে শান্তনু। তার পর পাঁচবছর পেরিয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু এখনও সিএএ লাগু হয়নি এরাজ্যে। এখন আবার সিএএ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। রবিবার শান্তনু ঠাকুর ডায়মন্ড হারবারে বলেছেন, “গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” পালটা দিয়েছে শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সবাই নাগরিক। সিএএ আদতে ভাঁওতা। ভোটের আগে রাজনীতির জন্য সিএএ কে ইস্যু করছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: অবশেষে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক, কী বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক?]
তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব জারি থাকলেও শান্তনুর ঘোষণায় নতুন করে স্বপ্ন দেখছে মতুয়ারা। তাঁদের কথায়, “আমরা উচ্ছ্বসিত, আপ্লুত। অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হতে চলেছে শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে।” কেউ বলছেন, “শান্তনু ঠাকুর যখন বলেছেন অবশ্যই সিএএ লাগু হবে।” কেউ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সিএএর জন্যই শান্তনু ঠাকুরকে জিতিয়েছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি সিএএ’র কথা বললেও তা লাগু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল মতুয়াদের মধ্যে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই সেই ক্ষোভ মেটাতেই নতুন করে সিএএ ইস্যু উসকে দিচ্ছে বিজেপি, দাবি ওয়াকিবহল মহলের।