সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুষ্টু, পড়াশোনায় অমনোযোগী ছাত্রদের বাগে আনতে নানা কাণ্ড করে থাকেন শিক্ষকরা। কড়া শাস্তিও দেন। তবে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি মাদ্রাসায় (Madrasa) যেভাবে দুই পড়ুয়াকে শায়েস্তা করা হল তা অমানবিক, বলছে নেটিজেনরা। ওই মাদ্রাসার মৌলানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুই ছাত্রকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখেন। যাতে করে তারা মাদ্রাস ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও (Video) পুলিশের কাছে পৌঁছায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, মাদ্রাসায় চেন দিয়ে বাঁধা দুই বালক। জানা গিয়েছে, তারা যাতে পড়া ছেড়ে না পালায় তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করেছিলেন মৌলানা। ভিডিও হাতে পেয়েই মাদ্রাসায় পৌঁছে দুই পড়ুয়াকে মুক্ত করে পুলিশ। এইসঙ্গে আটক করা হয় মৌলানাকে। যদিও মৌলানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করছে দুই পড়ুয়ার পরিবারের লোকেরা।
[আরও পড়ুন: কেউ ভিআইপি নয়, আরও ৪২৪ প্রভাবশালীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল পাঞ্জাবের AAP সরকার]
পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে, মৌলানার বিরুদ্ধে যেন কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। যেহেতু তারাই ছেলেদের প্রয়োজনে কঠিন শাস্তি দিতে বলেছিলেন মৌলানাকে। যেহেতু এর আগেও বহুবার ছেলেরা পড়া ছেড়ে মাঝপথে পালিয়েছিল। ছাত্রদের বক্তব্য, তাদের পড়াশোনা করতে ভাল লাগে না, সেই কারণেই তারা মাদ্রাসা ছেড়ে পালাত। ক্লাশ ফাঁকি দিতে শৌচালয়েও লুকিয়েও বসে থেকেছে তারা। তথাপি প্রশ্ন উঠছে, কোনও শিক্ষক কি অবাধ্য ছাত্রকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখতে পারেন? তা কি মানবিক কাজ?
[আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা, ইন্ডিগোকে মোটা অঙ্কের জরিমানা]
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসা শিক্ষার (Madrasa Education) আধুনিকীকরণে জোর দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপি সরকার। সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি হিন্দি, ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।মাদ্রাসার পড়ুয়াদের অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের সমকক্ষ করে তোলাই উদ্দেশ্য, এমনটাই জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। অন্যদিকে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস বসার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক অবশ্যই ক্লাস শুরুর আগে ‘জনগণমন’ গাইবেন। শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদিত সিদ্ধান্ত রূপায়ণের আদেশ বেরিয়েছে গত ৯ মে।