বাবুল হক, মালদহ: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবুজ ঝড়। তবে মালদহের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভরাডুবি তৃণমূলের। কী কারণে মালদহে এমন বিপর্যয়, তার কারণ খুঁজতে শনিবার কালীঘাটে বৈঠক। তার আগে খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলরই একাংশকে দায়ী করলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূর(Mausam Noor)।
মালদহ উত্তরে এবার তৃণমূল টিকিট দেয় প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর মালদহ দক্ষিণে প্রার্থী ছিলেন শাহনওয়াজ আলি রায়হান। দুটি আসনকে পাখির চোখ করে জেলায় বার বার সভা ও রোড শো করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। মালদহ উত্তরে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। মালদহ দক্ষিণে শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে হারিয়ে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। তৃণমূল তৃতীয়। মৌসম বেনজির নূরের দাবি, প্রার্থী বাছাইয়ে হয়তো গলদ ছিল। তাঁর মতে, প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। যদিও পরে দলীয় কর্মীরা মনোমালিন্য ভুলে ভোটের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলেই জানান মৌসম।
[আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় স্বস্তি, জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী]
২০১৯ সালে মৌসম ছিলেন জেলা সভানেত্রী। সেই সময় ভালো ফল হয়েছিল তৃণমূলের। মালদহ জেলা পরিষদ, দুটি পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সবই তৃণমূলের দখলে। গত পাঁচ বছরে কী এমন কারণে শাসক শিবিরে মালদহে এমন ভরাডুবি, সে কারণে খুঁজে দেখা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন মৌসম। বলেন, "উত্তর মালদহ, দক্ষিণ মালদহে দুটোতেই জয়ের আশা করেছিলাম। গত পঞ্চায়েত, বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল তৃণমূল। জেলা নেতৃত্ব অবশ্যই ব্যর্থ। চলার পথে ভুল হলে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ব্লক ধরে আলোচনা করতে হবে। আশা অবশ্যই আমরা সংশোধন করব।" আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাতে ফল ভালো হয়, সে চেষ্টা করবেন বলেও জানান মৌসম।