সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque), কুতুব মিনার (Qutub Minar), তাজমহলের পর এবার আজমেড়ের খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা! মুসলিমদের এই পবিত্র ধর্মস্থানটও নাকি একসময় হিন্দু মন্দির ছিল। এমনটাই দাবি রাজস্থানের এক হিন্দু সংগঠনের। ওই সংগঠনটি খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির (Khaja Moinuddin Chisti) দরগায় খননকার্য চালানোর দাবি জানিয়েছে।
মহারানা প্রতাপ সেনা (Maharana Pratap Sena) নামের এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মইনুদ্দিন চিস্তির দরগার দেওয়ালে তারা বিভিন্ন হিন্দু সংস্কৃতির প্রতীক লক্ষ করেছেন। দরগার দেওয়াল এবং জানালায় নাকি স্বস্তিক চিহ্নও দেখা গিয়েছে। মহারানা প্রতাপ সেনা নামের ওই সংগঠনটির নেতা রাজ্যবর্ধন সিং পারমারের দাবি, “খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা আসলে প্রাচীন মন্দির। দেওয়াল ও জানালায় স্বস্তিক-সহ হিন্দু ধর্মের বহু প্রতীক আমরা দেখেছি। আমরা চাই পুরাতত্ত্ব বিভাগ ওই দরগায় গিয়ে সার্ভে করুক।”
[আরও পড়ুন: ৩ দিনে কাশ্মীরে খতম ১০ জঙ্গি, নিকেশ অভিনেত্রী আমরিন ভাট হত্যায় জড়িত দুই লস্কর কম্যান্ডারও]
যদিও দরগা কর্তৃপক্ষ এই দাবি ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের সাফ কথা, খাজার দরগার কোথাও কোনও স্বস্তিক চিহ্ন নেই। সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিস্তিজির (Mausoleum of Khaja Moinuddin Chisti ) এই দরগা আজমেড়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। শুধু মুসলিমরাই নন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দুরাও এসে এই দরগায় প্রার্থনা করেন। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। দরগার খাদিমদের সংগঠনের প্রধান মইন চিস্তির সাফ কথা, আমরা সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, দরগায় কোথাও কোনও স্বস্তিক চিহ্ন নেই। সাড়ে আটশো বছর এই দরগা এখানে দাঁড়িয়ে আছে। আজ অবধি এই ধরনের কোনও প্রশ্ন কেউ তোলেনি। আজ দেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা আগে কোনওদিন দেখা যায়নি।
[আরও পড়ুন: বার্ষিক বেতন প্রায় ৮০ কোটি! দেশের সবচেয়ে ‘দামি’ CEO ইনফোসিসের সলিল পারেখ]
বস্তুত, অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুত্ববাদীরা যেন অতিউৎসাহী হয়ে উঠেছেন। জ্ঞানবাপী মসজিদ, কুতুব মিনার, তাজমহলের মতো ইসলামিক সৌধে হিন্দু নিদর্শন পাওয়ার দাবি উঠেছে। এবার খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগাও সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ল না।