সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দীর্ঘদিনের জল্পনার অবসান। মেয়াদ ফুরনোর সাড়ে আট মাস আগে দল অর্থাৎ তৃণমূলের নির্দেশে ইস্তফা দিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি (Dilip Agasty)। শারীরিক অসুস্থতার জেরে স্বেচ্ছায় পদ ছেড়েছেন মেয়র, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। তবে এই তত্ত্ব কতটা সত্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহল মহল।
একজোট হয়ে বহু কাউন্সিলরই মেয়রের বিরোধিতা করেছিলেন। বছর খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পর্যালোচনা বৈঠকে মেয়রকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরেই। কিন্তু তারপরও পদে বহাল ছিলেন দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র দিলীপ অগস্তি। বেশ কয়েকবার নিজের পক্ষে সওয়াল করতে তাকে হাজিরা দিতে হয়েছে উচ্চ নেতৃত্বের কাছেও। কিন্তু এসবের পরও বিশেষ লাভ হল না। সোমবার সকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, দলের নির্দেশে এদিনই পদ থেকে ইস্তফা দেবেন দিলীপ। কিন্তু সে বিষয়ে মুখ খোলেননি দিলীপবাবু। বরং জানিয়েছিলেন, “আমি নিগমের অফিসেই আছি। দলের নির্দেশ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা।”
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে খুন! হৃদরোগে মৃত্যুর দাবি করে সৎকারের চেষ্টা, ধৃত বধূ]
কিন্তু বিকেল গড়াতেই ইস্তফা দিলেন দিলীপ অগাস্তি। তারপর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ। অধিকাংশ কাউন্সিলর এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমে। মেয়রের ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় জানান, “ওনার বয়স হয়েছিল। শরীর সঙ্গ দিচ্ছিল না। তাই উনি অব্যাহতি দিয়েছেন। দল পরে সিদ্ধান্ত নেবে পরিবর্তী মেয়র কে হবেন।”
দিলীপবাবুর ইস্তফার মেয়রের আসন পাবেন ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়? চলছে কানাঘুষো। তবে অনিন্দিতাদেবী বলেন, “দলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছুই জানি না।”