ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শিশুদের জন্য প্রায় সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বয়স্কদের হাজারও শারীরিক সমস্যা। মাঝে মধ্যে সেই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। কিন্তু প্রবীণ নাগরিকদের এই সব শারীরিক সমস্যা দ্রুত সমাধানে বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকলেও স্থায়ী কোনও ওয়ার্ড ছিল না কোনও সরকারি হাসপাতালে। অবশেষে রাজ্যের মানবিক সরকার সেই ব্যবস্থাও শুরু করল। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘জেরিয়াট্রিক’ বা বয়স্কদের চিকিৎসার ব্যবস্থা।
দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য দপ্তর জেরিয়াট্রিক ইউনিট (Geriatric intensive-care unit) চালু করার জন্য বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সমীক্ষা চালিয়েছিল। শেষপর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই এই বিভাগ চালু হতে চলেছে দ্রুত। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বয়স্কদের জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে, তাতে যেমন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন, তেমনিই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাও থাকছে। যাতে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যায় এবং বয়স্কদের সুস্থ করা যায়।’’ স্বাস্থ্য দপ্তরের আর এক কর্তার কথায় বস্তুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াসেই এই চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগের পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মইদুল ও ৫ বিষপানকারী শিক্ষিকার বৈঠক, মিটল সমস্যা]
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, জেরিয়াট্রিক বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার। আপাতত ২০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকছে। প্রয়োজনে রোগীকে ভরতি করে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা যাবে। অরুণাংশুবাবু ছাড়াও আরও চারজন বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্স থাকছেন।
এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল-সহ রাজ্যের কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে বয়স্কদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও পাকাপাকিভাবে তেমন কোনও হাসপাতাল এবার মেডিক্যাল কলেজ। উল্লেখ্য, বিদেশে প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজেই জেরিয়াট্রিক বা প্রবীণদের শারীরিক সমস্যা নিরসনে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।