shono
Advertisement

মোদির জনসভার অনুমতি খারিজ মেঘালয়ে, ‘প্রধানমন্ত্রীকে রোখা যাবে না’, পালটা হুঙ্কার BJP’র

এর নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও দেখছে বিজেপি।
Posted: 03:17 PM Feb 20, 2023Updated: 04:25 PM Feb 20, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারে বাধা মেঘালয় প্রশাসনের। দক্ষিণ তুরা জেলায় পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে তাঁর জনসভা হওয়ার কথা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেই জনসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election)। পালা করে মেঘালয় যাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষনেতারা। তেমনই আগামী ২৪ তাখি শিলং ও তুরায় প্রচারে যাওয়ার কথা মোদির। কিন্তু মেঘালয়ের ক্রীড়াদপ্তরের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে কোনও জনসভার আয়োজন করা যাবে না। তাদের দাবি, ওই স্টেডিয়ামে নির্মাণ কাজ চলছে। অনেক নির্মাণ সামগ্রীও রাখা সেখানে আছে। যা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাছাড়া মোদির সভায় বিপুল ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবেই সেখানে সভা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন: ‘ভারতের ভাল হোক’, ‘অপারেশন দোস্ত’-এর জন্য ভারতকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ তুরস্কবাসীর]

তবে বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব দিয়েছে ক্রীড়াদপ্তর। জানানো হয়েছে, পিএ সাংমার পরিবর্তে আলোটগ্রে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সভার আয়োজন করা যেতে পারে। যদিও সেখানে আদৌ জনসভা হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও বিজেপির জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহা স্পষ্ট বলে দেন, ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও নির্ধারিত দিনেই মোদির জনসভা হবে। তাঁর কথায়, “মোদি যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন কোনওভাবেই তাঁকে রোখা যাবে না।” পাশাপাশি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, উদ্বোধনের দু’মাস পরই মোদির জনসমাবেশের আয়োজনে ব্যর্থ স্টেডিয়াম। যা মেনে নেওয়া যায় না।

তবে এর নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও দেখছে বিজেপি। ঋতুরাজ প্রশ্ন তুলেছেন, “কনরাড সাংঘা ও মুকুল সাংমা কি বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে? মেঘালয়ে গেরুয়া ঝড় রোখার চেষ্টাতেই কি এসব করা হচ্ছে?” এরপরই যোগ করেন, “আপনারা চাইলে মোদির সভা বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু মেঘালয়ের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে (বিজেপিকে সমর্থনের)।”

[আরও পড়ুন: সঙ্গে থাকুক প্রিয় গায়ক, পিঠে অরিজিৎ সিংয়ের অটোগ্রাফকে ট্যাটু করালেন অনুরাগী!]

উল্লেখ্য, ২০১৮-র নির্বাচনের পর এনপিপি ও বিজেপি জোট সরকার গড়ে মেঘালয়ে। কিন্তু ইতিমধ্যেই তা ভেঙে গিয়েছে। এবার একাই লড়বে গেরুয়া শিবির। জোট ভাঙার পর থেকেই এনপিপির বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর তারই মধ্যে মোদির সভার অনুমতি না মেলায় নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement