অরূপ বসাক, মালবাজার: ত্রিপুরা, গোয়ার পর মেঘালয়কে (Meghalaya) পাখির চোখ করেছে তৃণমূল (TMC)। কংগ্রেস বিধায়করা হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। সে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। এবার সরকার গড়ার পালা। এর মাঝেই মেঘালয়ের মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল বাংলার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই প্রশংসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগানে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মেঘালয়ের মন্ত্রী দশাখিয়াত লামারে। সেখানেই বাংলার তৃণমূল সরকারের কাজের প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভাল কাজ করছে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিৎ। বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়কদের মানুষের এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: আঠেরোর অপেক্ষা নয়, বয়ঃসন্ধি পেরোলেই বিয়ে করতে পারে মুসলিম মেয়েরা! বলছে আদালত]
মেঘালয়ের পরিবহণ ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী ২৮ বছরের দশাখিয়াত লামারে। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি মেঘালয়ের বিধায়ক হন। বর্তমানে তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী। এদিন ইনডং চা বাগানের আম্বাচপল লাইনে বড়দিন উপলক্ষ্যে বাগান কর্তৃপক্ষের ডাকে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ইনডং চা বাগানের মালিকপক্ষের তরফে বাগানের শিশু-সহ বাসিন্দাদের খেলনা, শাড়ি, কেক, চকোলেট, পোশাক-সহ নানান সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগ্রাকাটার বিজেপি বিধায়ক পুনা ভেংরা-ও।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নিজেদের সংগঠন মজবুত করছে তৃণমূল। অন্যান্য রাজ্যের তাবড় তাবড় নেতা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। গত ২৫ নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)-সহ ১২ জন বিধায়ক। এরাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতেই মেঘালয়ের বড়সড় ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এবার সে রাজ্যের শাসকদল বিজেপির জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বিধায়কের গলায় মমতার প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।