সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সন্ধে থেকে তাঁরা গৃহবন্দি ছিলেন৷ এবার সেই অবস্থাতেই কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্র৷ সূত্রের খবর, শ্রীনগরের নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পিডিপি নেত্রীকে কাছের সরকারি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ৷
[ আরও পড়ুন: উন্নাওয়ের নির্যাতিতা,আইনজীবীকে দিল্লির এইমসে ভরতি করার নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের]
রবিবার এই দুই নেতাকে গৃহবন্দি করেই, সোমবার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়েছে কেন্দ্র৷ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করতে বিলও পাশ করিয়েছে নয়াদিল্লি৷ তবে এদিন রাজ্যসভায় সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় পিডিপি৷ এই বিলের প্রতিবাদে সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলে পিডিপির দুই সাংসদ মীর ফৈয়াজ ও নাজির আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করা হয়। মেহবুবা মুফতির দলের ওই সাংসদদের রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তারা সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যসভার বাইরে বেরিয়ে এসেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। নিজের জামাও ছিঁড়ে ফেলে মীর ফৈয়াজ।
[ আরও পড়ুন: বিরোধিতা সামান্যই, অনায়াসে রাজ্যসভায় পাশ জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ২০১৯ ]
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের খবর পেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে কালো দিন। কাশ্মীরের মানুষ কোনওদিনই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”
তাঁর মতোই এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনাকে বিশ্বাসঘাতকতার চরম নিদর্শন বলে উল্লেখ করেন তিনি। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ন্যাশনাল কনফারেন্স যে আদালতে যাবে, সেই হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷ তবে সেসবের সুযোগ কতটা মিলবে, সোমবার সন্ধেবেলা দু’জনের গ্রেপ্তারির পর তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেল৷ এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই জম্মু-কাশ্মীরের উপর মোদি সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের যে ক্ষমতা, তারই প্রদর্শন করা হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷
The post গৃহবন্দিত্ব থেকে সোজা বন্দিদশা, ৩৭০ বিলুপ্তির পরই গ্রেপ্তার আবদুল্লা-মুফতি appeared first on Sangbad Pratidin.