সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও মেয়ের সঙ্গে কোনও ছেলের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর হতেই পারে। তরুণ ও তরুণীর মধ্যে সখ্য স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তার অর্থ কখনওই এই নয় যে, সেই তরুণী কিংবা যুবতীর সঙ্গে যৌন মিলনের ছাড়পত্র পেলে গেলেন যুবক। এমনই নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ বম্বে হাই কোর্টের।
গত ২৪ জুন বম্বে হাই কোর্টের (Bombay HC) বিচারপতি ভারতী এইচ ডাংরের ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা জমা পড়েছিল। অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিল আশিস চকোর নামের এক ব্যক্তি। যার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
[আরও পড়ুন: পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট, মাথা কেটে নেওয়া হল যুবকের, অগ্নিগর্ভ রাজস্থান]
অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন, আশিসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল। তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতির পরও সঙ্গমের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হননি। এরপর কার্যত জোর করেই তাঁর সঙ্গে দিনের পর দিন যৌন মিলন ঘটায় আশিস। এমনকী তরুণী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। অভিযোগ, সেই সময় আশিসকে বিয়ে করতে বললে সে বেঁকে বসে। হবু সন্তানের কোনও দায়িত্ব নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেয়। উলটে অভিযুক্ত কাঠগড়ায় তুলে দেয় তরুণীকেই। বলে দেয়, ওই তরুণীরই চরিত্র খারাপ। এমনকী তাঁর অন্য পুরুষদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে আশিস। এসবের পর ফের জোর করে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে সঙ্গম করে সে। যার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।
২২ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হয় আশিসকে। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন নজিরবিহীন রায় দেয় বোম্বে হাই কোর্ট। বলা হয়, কোনও তরুণী বা যুবতীর সঙ্গে কোনও যুবকের বন্ধুত্বের মানে এই নয় যে, সেই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন যুবক। বিশেষ করে যদি ওই মহিলা সঙ্গমে রাজি না থাকেন। পুরোটাই হতে পারে একে অপরের মধ্যে সমঝোতা থাকলে। এমন পর্যবেক্ষণের পরই অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দেওয়া হয়। বম্বে হাই কোর্টের এমন দৃষ্টান্তমূলক মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।