নব্যেন্দু হাজরা: আকাশে মেঘের আনাগোনা। মাঝেমধ্যে দেখা মিলছে বৃষ্টিরও (Rain)। এই পরিস্থিতিতেও ঘরে বসে ঘেমে নেয়ে যাচ্ছেন প্রায় প্রত্যেকেই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন এমনই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে ভুগতে হবে আমজনতাকে। উত্তরবঙ্গে যদিও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মৌসুমী অক্ষরেখা গোরক্ষপুর থেকে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণের দিকে সরবে। রাজস্থান এবং তামিলনাড়ু উপকূলে অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণের বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বুধবার কলকাতায় (Kolkata) আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিন সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে। ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল TMC নেতার]
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবারও উত্তরের জেলাগুলির আবহাওয়া প্রায় একইরকম থাকবে। অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।
বাংলার পাশাপাশি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও। অসমেও (Assam) প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে বিহার (Bihar), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। আগামী চার-পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) উপকূলে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে কেরল (Kerala) এবং মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিভিন্ন এলাকায়।