সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝ নভেম্বরে অবশেষে কলকাতায় শীতের আমেজ। রবিবার সকালে তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় নেমেছে ১৮ ডিগ্রিতে। অর্থাৎ আজই কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন। ভোরের দিকে কুয়াশায় ঢেকেছিল পথঘাট। এক ধাক্কায় অনেকটা নেমেছে পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রাও। তুলে রাখা লেপ-কম্বল রাতারাতি জড়াতে হয়েছে গায়ে। ফলে নভেম্বরেই মুখে হাসি শীতবিলাসীদের। কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে বঙ্গে, এখন সেই অপেক্ষা।
রবিবার সকাল থেকেই কুয়াশায় মুড়েছে শহর কলকাতা, শহরতলি ও অন্যান্য জেলার পথ-ঘাট। হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিলাস। যা শনিবারের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি কম। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমেছে অনেকটা। এদিন পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে। পারদ পতন হয়েছে, বর্ধমান, আসানসোল, বীরভূমেও। অর্থাৎ সত্যি হল আবহাওয়া দপ্তরের আগাম পূর্বাভাসই। শনিবারই আবহাওয়াবিদ জানিয়েছিলেন, টানা ৪-৫ দিন কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই থাকবে কলকাতার তাপমাত্রা। ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছিও নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। সকাল ও সন্ধেয় বেশ কয়েকঘন্টা কলকাতাতে শীতের আমেজ বাড়বে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে ‘অপমান’, অখিল গিরিকে নোটিস জাতীয় মহিলা কমিশনের, পথে বিজেপি]
প্রসঙ্গত, একটু একটু করে শীতের আমেজ দেখা দিলেও ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ১৬ নভেম্বর বুধবার নিম্নচাপ হতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের সংযোগস্থলে। এছাড়া নতুন করে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রবিবার ঢুকতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। তার প্রভাবে রবি ও সোমবার বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তর রাখান এবং হিমাচল প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায়। রবিবার কেরল-সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা। ১৪ নভেম্বর সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের ওই এলাকায় সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।