নব্যেন্দু হাজরা: পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপের ধাক্কায় মাঝে মাঝে বাধা পেয়েছে। তবে জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারির শুরুতেও জমিয়ে ব্যাটিং করছে শীত (Winter)। রবিবারের পর সোমবারও ফের কমল কলকাতার তাপমাত্রা। তিলোত্তমার পারদ নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। তাপমাত্রার নিরিখে সোমবার মরশুমের শীতলতম দিন। গত ১০ বছরের তাপমাত্রার নিরিখে রেকর্ড গড়ল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি।
সোমবার কলকাতায় সকালে সামান্য কুয়াশা (Fog) ছিল। তবে পরে মেঘমুক্ত রোদ ঝলমলে আকাশের দেখা মিলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। ঠান্ডার কামড়ের পাশাপাশি ঘন কুয়াশার দাপটও লক্ষ্য করা যাবে। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরেরও ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকা পড়ার সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারেও। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে।
[আরও পড়ুন: ‘আমিও দিদির সৈনিক’, দলের ভাঙন রোধে নয়া কর্মসূচি শুরু করল তৃণমূল]
দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের ১৪টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী দু’দিন অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। রেকর্ড শীত পড়ায় ফেব্রুয়ারি শুরুতেও বেজায় খুশি শীতবিলাসীরা। আপাতত চেটেপুটে শীত উপভোগ করতে ব্যস্ত তাঁরা।