নব্যেন্দু হাজরা: উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথায় থমকে গেল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়ার (Dakhineswar-Noapara Metro Service) মেট্রোর দৌড়। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে সোমবার দুপুর থেকে এই রুটের মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যার জেরে বিপাকে নতুন দুই স্টেশনের (নোয়াপাড়া ও বরাহনগর) যাত্রীরা।
মেট্রোর যান্ত্রিক গোলযোগ নতুন ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যেই যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে থমকে যায় কলকাতার মেট্রো পরিষেবা। কখনও নির্দিষ্ট স্টেশনে না থেমেই ছোটে মেট্রো। আবার কখনও মেট্রোর লাইনে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপর্যস্ত হয় মেট্রো পরিষেবা। এদিন সেই গোলযোগের জেরেই থমকে গেল দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া রুটের মেট্রো চলাচল।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর পৌনে একটা নাগাদ নোয়াপাড়ার কাছে সিগন্যালিং পয়েন্টে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। এর পরই ওই রুটে মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মেরামতির কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন মেট্রোর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কাজ শেষ হলেই ফের দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া রুটে মেট্রো চলবে। আপাতত দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে তৎপর ED, তদন্তকারীদের নজরে কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ী]
তবে উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথায় যান্ত্রিক গোলযোগ ঘটনায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছেন এই রুটের যাত্রীরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ভোটের বাজারে উদ্বোধনের জন্য তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। তাই মাত্র দশদিনের মধ্যেই থমকে গেল মেট্রো পরিষেবা।
নোয়াপাড়া থেকে ৪.১৪ কিলোমিটার বর্ধিত রেলপথে যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছুটছে। দুই স্টেশনের মাঝে রয়েছে বরাহনগর। দক্ষিণেশ্বর থেকে সড়কপথে যেখানে নিউ গড়িয়া পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে মেট্রোয় এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে সেই দূরত্বে পৌঁছে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ভাড়াও থাকছে ২৫ টাকাই। তবে দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রোয় চড়তে গেলেও স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক রয়েছে। টোকেন চালু হয়নি। দিনে মোট ৭৯ জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল করছে। এদিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম চলছে আরও তিন জোড়া মেট্রো। প্রথম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়ছে সকাল সাতটায় এবং শেষ ট্রেন রাত সাড়ে ন’টায়। এদিনও সকালে দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যে ঠিকঠাকই চলে মেট্রো। কিন্তু বেলা গড়াতেই থমকে গেল এই রুটের পরিষেবা।