নব্যেন্দু হাজরা: নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আজ থেকে দিল্লিতে (Delhi) চালু মেট্রো। কিন্তু কলকাতায় কবে? ফের কবে সচল হবে শহরের লাইফলাইন? শহরবাসীর মনে এখন সেই প্রশ্নই ঘুরছে। রেস্তরাঁ খুলে যাচ্ছে। শপিং মলও খুলছে ১৬ জুন। শাড়ির দোকান থেকে গয়নার দোকান সময় বেঁধে তাও খুলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেখানে যাবে কি করে! বাস, ক্যাব, ট্যাক্সি, অটো, মেট্রো সবই তো বন্ধ। প্রাইভেট গাড়িও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বেরোচ্ছে না। তাহলে! ১৬ তারিখ থেকে মেট্রো কি চলবে? গুঞ্জন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মেট্রোভবনের অন্দরে। সেইমতো সমস্ত কর্মীকে ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়াও হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দিনক্ষণ কিছু ঠিক হয়নি। কিন্তু মেট্রো (Metro) চালানোর জন্য সমস্তরকম প্রস্তুতি করা আছে। রোজ এখন সকাল, বিকেল দুটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেনও চলছে। নবান্ন সবুজ সংকেত দিলেই কোভিডবিধি মেনেই যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো। তবে লকডাউনের পর গতবার মেট্রো চালুর সময়ে যেভাবে ই-পাসের মাধ্যমে সিট বুক করে যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হয়েছিল, এবার তেমনটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ সেবিষয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে মেট্রো চালু হলেও এখনই টোকেন চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেই যেতে হবে যাত্রীদের।
[আরও পড়ুন: ‘সব উজাড় করে দেব’, অভিষেকের নতুন সাফল্যে আবেগপ্রবণ সুব্রত বক্সি, ভাসলেন চোখের জলে
মেট্রোসূত্রে খবর, নোয়াপাড়া কারশেডে কিছু কাজ, মেট্রোর ট্র্যাকের এবং রেকের রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ এই ট্রেন বন্ধের সময় করে ফেলা গিয়েছে। স্টাফেদেরও একদিন অন্তর একদিন আসতে হচ্ছে অফিসে। ফলে ট্রেন চালাতে তেমন কোনও অসুবিধা হবে না। তাছাড়া শুধু স্মার্টকার্ডে যাত্রী যাতায়াত করলে তেমন একটা ভিড়ও হয় না ট্রেনে। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলছে। স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় ফাঁকায় ফাঁকায় যাতায়াত করতে পরবেন যাত্রীরা। গতবারের অভিজ্ঞতা দেখেই তাই মেট্রোয় ই-পাস (E-Pass) চালু করার খুব একটা আগ্রহ নেই কর্তৃপক্ষের।
আধিকারিকদের কথায়, এই ই-পাস চালু হলে তাতে সাধারণ যাত্রীদের মেট্রোয় চড়তে সমস্যা হচ্ছে। কর্তাদের বক্তব্য, অতিমারীর সময় এই ধরনের প্রতিকূল অবস্থায় গতবার প্রথম পড়েছিল মানুষ। বোঝা যাচ্ছিল না ট্রেন চালু হলেই সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাবে কিনা! সেই আশঙ্কা থেকেই তাই ই-পাস চালুর সিদ্ধান্ত করেছিল সরকার এবং মেট্রো। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, যে পরিমাণ যাত্রী হচ্ছে তাতে ই পাসের দরকার নেই। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মেট্রো চালানোর জন্য প্রস্তুত। রাজ্য সরকার যেদিন থেকে চালাতে বলবে, সেদিন থেকেই চলবে।”