সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্চ মাস থেকে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। টিকাকরণ শুরুর পর থেকেই নিউ নর্মালে অনেকটাই গা ছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর তাতেই লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন দিল্লির এইমসের (AIIMS) প্রধান ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। বাইরের দেশ থেকে ভারতে আসার উপর লাগাম টানা থেকে শুরু করে মাইক্রো লকডাউনের পথে হাঁটা উচিত বলেই দাবি তাঁর।
দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথমবার ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯৩ হাজার। একলাফে অনেকটা বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। একইভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস। এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক আকার ধারণ করতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিল্লি এইমসের প্রধান এবং সরকারের কোভিড টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা চলে গিয়েছে, মাস্ক পরতে হবে না,’ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যে বিতর্ক]
ডা. রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “সংক্রমণের হার কমানোই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। কনটেনমেন্ট জোন এবং লকডাউন জারি থাকা এলাকাগুলিতে টেস্টিং, ট্রেসিং আর আইসোলেশনের সংখ্যা বাড়ানো।” তাঁর আরও দাবি, করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই মাইক্রো লকডাউন (Micro lockdown) কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউকে রুখতে বিশেষ উপকারী পদক্ষেপ হতে পারে।
গত বছর দেশজুড়ে লকডাউনে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল প্রায় সমস্ত বেসরকারি সংস্থাকে। এমনকী রেল থেকে বিমান, সবক্ষেত্রেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এবার সরাসরি লকডাউনে হাঁটার পথে অনেক সরকার এই কারণেই আপত্তি দেখাচ্ছেন। কারণ ফের লকডাউন হলে মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের অর্থনীতি। তবে এইমস প্রধানের দাবি, ছোট ছোট জায়গা ভাগ করে মাইক্রো লকডাউন করার ক্ষেত্রে অর্থনীতি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সাধারণ মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি বলে মত তাঁর।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অনীহা! টিকাকরণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
বাড়তে থাকা সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যেই বিমানপথে যাতায়াতে লাগাম টেনেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে এখনই লকডাউন জারি করতে চাইছে না দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। এদিকে, উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ক্যাবিনেট সচিব-সহ উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে রবিবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকাকরণ থেকে সংক্রমণ, সব নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে বলে খবর।