shono
Advertisement

Breaking News

চিরুনি তল্লাশি শেষ, অবশেষে সমুদ্রগর্ভে উদ্ধার ভেঙে পড়া মিগ বিমানের দ্বিতীয় পাইলটের দেহ

দুর্ঘটনার ১২দিন পর মৃতদেহ উদ্ধার করল নৌসেনা।
Posted: 06:24 PM Dec 07, 2020Updated: 06:24 PM Dec 07, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ অবশেষে উদ্ধার হল আরব সাগরে ভেঙে পড়া Mig-29K বিমানের দ্বিতীয় পাইলট নিশান্ত সিংয়ের মৃতদেহ। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রায় ১২ দিন পর তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। গোয়া (Goa) উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে সমুদ্রের গভীরে ৭০ মিটার নীচ থেকে উদ্ধার করা হল দেহ।

Advertisement

সোমবার এক বিবৃতিতে আধিকারিকদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‌‘ভারতীয় নৌসেনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত Mig-29K বিমানের দ্বিতীয় পাইলট নিশান্ত সিংয়ের মৃতদেহ সমুদ্রের গভীরে ৭০ মিটার‌ নীচ থেকে উদ্ধার করেছে। গত ২৬ নভেম্বর ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। তারপর এতদিন ধরে তল্লাশির পর গোয়া উপকূল থেকে ৩০ মাইল দূরে মৃতদেহটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।’‌’ এই খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শহিদ ওই আধিকারিককে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে গোটা দেশ।

 

[আরও পড়ুন: ‘ভূমিপুজো করুন কিন্তু নির্মাণ নয়’, নতুন সংসদ ভবন নিয়ে ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে কেন্দ্র]

গত ২৬ নভেম্বর বিকাল ৫টা নাগাদ আরব সাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya) থেকে পাড়ি দিয়েছিল MiG-29K ট্রেনার বিমানটি। তারপরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেটি। শেষ মুহূর্তে দুই চালক বিশিষ্ট বিমানটি থেকে একজন পাইলট বেরতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ ছিলেন নিশান্ত। তাঁর খোঁজে নামে নৌসেনা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। নিখোঁজ দ্বিতীয় পাইলটের খোঁজে ৯টি যুদ্ধজাহাজ ও ১৪টি বিমানও মোতায়েন করা হয়।

[আরও পড়ুন: কৃষি আইনের প্রতিবাদে লখনউয়ের রাস্তায় নামতেই আটক অখিলেশ যাদব]

উল্লেখ্য, মিগ সিরিজের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই বিমান চালাতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে বায়ুসেনার বহু পাইলটের। ২০১৯-এর জুন মাসেও এমনই একটি মিগ-২৯কে বিমান ভেঙে পড়েছিল। মিগ সিরিজের বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার অনেক সাফল্যের সঙ্গীও। কারগিল যুদ্ধে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি ছিল মিগ যুদ্ধ বিমান। আবার সম্প্রতি বায়ু সেনা অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ বিমানে চড়েই পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন। সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ‘মিকোয়ান গুরেভিচ’ ডিজাইন ব্যুরো এই মিগ বিমানের নকশা তৈরি করেছিল। এটি একটি চতুর্থ প্রজন্মের সুপারসোনিক জেট ফাইটার। এর প্রস্তুতকারক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান বাহিনীতে এই বিমান প্রথম নিযুক্ত করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement