দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে পাঁচজন টিবি আক্রান্ত রোগীকে দত্তক নিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। শুক্রবার সাংসদ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। সম্প্রতি সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ভাঙড় ১ ব্লকের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতাল ও ভাঙড় ২ ব্লকের জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর এই প্রথম তিনি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দেন। ওই বৈঠকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন সাংসদ। বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, ব্লক হাসপাতালে অধিকাংশ সময় প্রসূতি মায়েদের অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়। এর ফলে অনেক মা প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়িতেই প্রসব করে ফেলেন। সাম্প্রতিককালে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা দাবি করেন। এনিয়ে সাংসদ তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
[আরও পড়ুন: আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা? গল্ফগ্রিনের অফিসে উদ্ধার প্রযোজকের ঝুলন্ত দেহ]
ব্লক এলাকায় প্রায় ৭৩ জন টিবি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। ওই সমস্ত রোগীদের অনেকেই অত্যন্ত গরিব। তাঁদের অনেকেরই দু’বেলা দু’মুঠো ঠিকমতো খাবার জোটে না। এই তথ্য পাওয়ার পর সাংসদ নিজে পাঁচ জন টিবি আক্রান্ত রোগীকে দত্তক নেন। বিডিও দীপ্যমান মজুমদার দু’জন রোগীকে দত্তক নেন। তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ দু’জনকে এবং পঞ্চায়েত প্রধান শামসুল আলম ২ জন টিবি আক্রান্ত রোগীকে দত্তক নেন। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই কাজে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন জানান।
সাংসদ বলেন, ‘‘প্রসূতি মায়েদের রেফার করা এবং রাস্তায় সন্তান প্রসব হয়ে যাওয়া কোনওটাই কাম্য নয়। চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই চাইবেন না কোনও মায়ের ক্ষতি হোক। কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’’