shono
Advertisement

তুলবে ছবি, শনাক্ত করবে শত্রু মাইন, জলে ডুব কলকাতায় তৈরি দেশের প্রথম ‘মিনি সাবমেরিনে’র

দেখতে অবিকল সাবমেরিন। কাজেও তাই। শুধু চেহারা ছোট।
Posted: 08:44 PM Jul 28, 2023Updated: 09:38 PM Jul 28, 2023

অর্ণব আইচ: ভাসতে ভাসতে হঠাৎই জলের ফোয়ারা তুলে ভুস করে পানকৌড়ির মতো ডুব। জলের ভিতর ডুবসাঁতার কেটে তরতর করে এগিয়ে গেল ২.১৫ মিটার লম্বা সাবমেরিন ‘নীরাক্ষি’।

Advertisement

দেখতে অবিকল সাবমেরিন। কাজেও তাই। শুধু চেহারা ছোট। তার ভিতর কোনও মানুষের পক্ষে থাকাও সম্ভব নয়। জলে ডুবে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারিই তার আসল লক্ষ‌্য। জলের গভীরে সে তুলতে পারে স্পষ্ট ছবি। অতি সহজেই সে শনাক্ত করতে পারে মাইনের মতো মারাত্মক বিস্ফোরক। শুক্রবার কলকাতার জলে ভাসল দেশের প্রথম ‘সাবমেরিন ড্রোন’। কলকাতার যুদ্ধজাহাজ কারখানা গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স (জিআরএসই) ও ডিফেন্স রিসার্চ অ‌্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) যৌথ উদ্যোগে এই শহরে তৈরি হল এই মিনি সাবমেরিন। ডিআরডিও-র সেক্রেটারি ড. সমীর ভি কামাত ‘নীরাক্ষি’র নামকরণ করেন।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর নিশানায় I-PAC-এর দুর্নীতি! ‘চোরের মায়ের বড় গলা’, পালটা দিলেন কুণাল]

সাত ফুটেরও কম এই ‘সাবমেরিন ড্রোন’টি বিশেষ সফটওয়‌্যারের সাহায্যে পরিচালিত হয়। ৪৫ কিলো ওজনের এই মিনি ডুবোজাহাজ অতি সহজেই যে কোনও জাহাজে বহন করা যাবে। এক বা দু’জন বহন করে সেটি জলে ভাসাতে পারেন। দূর থেকে করা যেতে পারে নিয়ন্ত্রণ। নদী, সমুদ্র, লেকের জলের তিনশো মিটার নিচে বিচরণ করতে পারে টানা চার ঘণ্টা ধরে। জিআরএসই-র চেয়‌্যারম‌্যান ও এমডি পি আর হরি জানান, এই ডুবো-ড্রোনটি জলের তলায় ঘুরে নজরদারি ও তথ‌্য সংগ্রহ করে পাঠাতে সক্ষম। মানুষ চালিত বড় সাবমেরিন যে জায়গায় বিচরণ করতে পারে না, নীরাক্ষি তা পারবে। দূর থেকে শত্রুপক্ষের কোনও জাহাজ বা সাবমেরিন নজরে আসলে সেই তথ‌্য সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হবে নিয়ন্ত্রকদের কাছে। ফলে গভীর সমুদ্র বা উপকূল, এমনকী নদীতেও নজরদারির জন‌্য নৌসেনা অথবা উপকূলরক্ষী বাহিনী সহজেই এই জলযান ব‌্যবহার করতে পারে।

নীরাক্ষির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে জলের তলায় কোথাও অথবা জাহাজ বা সাবমেরিনে বসিয়ে দেওয়া শত্রুপক্ষের মাইন শনাক্ত করার। বড় লেকে নজরদারির জন‌্য সেনাবাহিনীও এই ডুবো-ড্রোন ব‌্যবহার করতে পারে। এই মিনি সাবমেরিনের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যেই মাইন শনাক্ত করার পর তা নষ্টও করার ক্ষমতা রাখবে। প্রয়োজনে জলের তলা দিয়ে কোনও বিশেষ বস্তু বহন করে এক জায়গা থেকে অন‌্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে সে। ডিআরডিও-র সেক্রেটারি জানান, জিআরএসই ক্রমে যন্ত্রচালিত সমুদ্র জলযান, সমুদ্র-ড্রোন তৈরি করতে চলেছে। অল্পদিনের মধ্যে ‘সবুজ জলযান’ তৈরি করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জিআরএসএই।

[আরও পড়ুন: ‘মহাভারতেও ছিল লাভ জেহাদ’, অসমের কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, হুঁশিয়ারি হিমন্তর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement