বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: একগুচ্ছ জনমুখী প্রকল্পকে সামনে রেখে একুশের নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার ফলও মিলেছে ভোটে। রাজ্য বাজেটে তেমনই কিছু জনমুখী প্রকল্পের চমক রাখবে সরকার, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহল মহলের।
আজ, শুক্রবার রাজ্য বাজেট (Bengal Budget)। পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। স্বাভাবিকভাবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে। পরিকাঠামো নির্মাণ, শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরিতে জোর দেওয়া হবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে ইতিমধ্যে ১০০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে গত ক’দিনে বিধানসভায় যে আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে বিজেপি, আজও তার বদল হবে না বলে একপ্রকার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজেও সে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রথম ক’দিন অধিবেশন বয়কট করেছিল বিজেপি। তবে এদিন ভিন্ন ভূমিকায় থাকবে বলে জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিক চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে? জেনে নিন হাই কোর্টের নতুন নির্দেশ]
তবে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে শাসকদলের তরফে। পালটা রক্ষণ তৈরি রাখছে তারা। কিন্তু সরকারি দলের প্রধান উদ্দেশ্য বাজেট পেশ এবং তা ‘টেবিল’ করা। বিধানসভার কার্যপ্রণালীর মধ্য দিয়ে তাকে পাস করানো। ফলে বিজেপি হট্টগোল করলে পালটা সেই পথে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছে নেতৃত্ব। পরিস্থিতি যদি সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সেক্ষেত্রে কী করণীয়? শাসক শিবির মনে করিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপালের ভাষণ বিরোধীদের হট্টগোলে পড়া না গেলে তাকে ‘টেবিল’ করার রীতি পালন করতে হয়। রাজ্যপাল তার অনুমোদন দিলে তার স্বীকৃতি মেলে। বাজেট (Bengal Budget) পেশের সময়ও এমন ঘটনা ঘটলে তার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাজেট পাঠ শুরু করে কিছুদূর পড়ে শেষের অংশে গেলেও চলবে।
উল্লেখ্য, অতীতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)বাজেট পেশের সময়ও এমন নিদর্শন দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই বিজেপির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে তৃণমূল। গত ৭ মার্চ রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের পেশের শুরুতেই বিজেপি প্রবল হট্টগোল বাধায়। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।