সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি (Meenakshi Lekhi)। বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘গুন্ডা’ বলায় রীতিমতো সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাঁকে। শেষপর্যন্ত বিতর্ক থামাতে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমাও চাইলেন তিনি।
আটমাস কেটে গেলেও দেশে এখনও বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রয়েছে। বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রের ওই তিন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে সামিল হন কৃষকরা। সেই সমাবেশে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগও ওঠে। যা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। পাশাপাশি গত ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লার ঘটনা প্রসঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘গুন্ডা’ বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিজেপি নেত্রীর মন্তব্য, “ওঁরা কৃষক নন, গুন্ডা। ২৬ জানুয়ারি তাঁদের ওই কাজ লজ্জাজনক ও অপরাধমূলক।”
[আরও পড়ুন: J&K: ব্যর্থ বড়সড় নাশকতার ছক! গুলি করে সন্দেহজনক ‘পাক’ Drone নামাল পুলিশ]
মীনাক্ষী লেখির এই মন্তব্যর পরই হইচই শুরু হয় রাজনৈতিক থেকে কৃষি মহলে। কৃষক সংগঠনের নেতা রাকেশ টিকায়েত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির এ হেন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “কৃষকরা কৃষকই। তারা গুন্ডা নন। গোটা দেশের অন্নদাতা। মন্ত্রীর এই বক্তব্য আসলে দেশের অন্নদাতাদের অপমান। গুন্ডা তারাই যাদের কিছু নেই। আমরা যদি গুন্ডা হই তাহলে মীনাক্ষীজি কৃষকদের ফলানো ফসল খাওয়া বন্ধ করে দিন। আমরা তাঁর এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।” এছাড়া অন্যান্য মহল থেকেও তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
শেষপর্যন্ত বিতর্ক থামাতে এগিয়ে আসেন মীনাক্ষী লেখি নিজেই। জানান, তাঁর মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি তাঁর মন্তব্যে আহত হন, তাঁর জন্যে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। পাশাপাশি এই মন্তব্য প্রত্যাহার করার কথাও জানান তিনি। গুন্ডা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মীনাক্ষীর দাবি, ২৬ জানুয়ারি নিয়ে করা একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর মন্তব্য ঘুরিয়ে ধরে উপস্থাপন করা হয়েছে।