ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের জল্পনা। মঙ্গলবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। হাজির ছিলেন না মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেবও। রাজ্য জুড়ে দলবদলের আবহে ক্যাবিনেট বৈঠকে একঝাঁক মন্ত্রীর অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “অনুপস্থিত মন্ত্রীরা প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। রাজীব মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত কাজ রয়েছে।”
[আরও পড়ুন : রাজভবনে সাক্ষাতে ‘না’ শিক্ষাসচিবের, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে টুইট ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের]
অসুস্থতার দরুণ গত কয়েকটি ক্যাবিনেটে অনুপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেব। এদিনের অনুপস্থিতি, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার এলাকায় একটি অনুষ্ঠান রয়েছে, তাই তিনি আসতে পারেননি। এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। গৌতম দেব সবেমাত্র করোনামুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, দূরে যাঁরা থাকেন করোনা আবহে তাঁদের ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ক্ষোভ প্রশমন করতে একাধিকবার বৈঠক সারছে দলীয় নেতৃত্ব। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠক হয়েছে। রাজীব সে কথা মানতে রাজি নন। বরং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “দলীয় নেতৃত্ব ডেকেছিল। দলের নির্দেশ পালন করে কর্মী হিসেবে এখানে এসেছি। এর আগেও পার্থদার বাড়িতে এসেছি। তখন তো কেউ জানতই না।” বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান,” দলের মধ্যের কথা। সে কথা আমি সংবাদমাধ্যমকে জানাব না।” রাজীবের প্রতিক্রিয়া শুনে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, আপাতত খুব মেপে পা ফেলছেন তিনি। তাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে এখনই কিছু বলতে রাজি নন। তারপরই ক্যাবিনেট বৈঠকে গরহাজির তিনি। যদিও পার্থবাবুর দাবি, ব্যক্তিগত কাজের জন্য এদিন আসতে পারেননি রাজীব।
[আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে মন্তব্য কেন? সায়ন্তনকে শোকজ দিলীপের]