সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ জুনের মধ্যরাতে সংসদে রীতিমতো বড়াই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি জিএসটির নামকরণ করেছিলেন গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স। জিএসটি আদৌ কতটা সহজ এবং সরল তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এসব গুরুত্ব দেননি। তবে তাঁর দলের লোকেরা কতটা জিএসটি শিক্ষিত হল তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠে গেল। জিএসটি নিয়ে এক মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
[প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা দিন, ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের]
বিজেপিশাসিত মধ্য প্রদেশের এক মন্ত্রী জনসমক্ষে জিএসটি নিয়ে অজ্ঞতার কথা মেনে নিয়েছেন। মন্ত্রীমশাইয়ের নাম ওম প্রকাশ ধুর্বে। যিনি মধ্যপ্রদেশের খাদ্য, শ্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলান। ওম প্রকাশ একটি অনুষ্ঠানে জানান, ”জিএসটি আমি নিজেই কিছুই বুঝতে পারিনি। তাই এই নিয়ে কিছু বলা আমার সাজে না। বড় বড় চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট বা ব্যবসায়ীদেরই এটা বোধগম্য হয়নি, সেখানে আমি কোন ছাড়।” ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে জিএসটি নিয়ে ওই আলোচনাসভায় মন্ত্রী ওম প্রকাশের এমন স্বীকারোক্তিতে অবাক হয়ে যান মঞ্চে থাকা অন্যান্য নেতারা। বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁর সংযোজন, ”এটা শেখার বিষয়। যখন একদিন মানুষ সব বুঝবে তখন সবাই স্বস্তি পাবে।” এই কথার ইঙ্গিত যে দলের নেতৃত্ব তা ঠারোঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন মধ্য প্রদেশের এই ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
[যে কোনও পরিস্থিতিতে ২০১৮-র মধ্যেই হবে রাম মন্দির, ঘোষণা VHP-র]
নোটবাতিল এবং জিএসটি নিয়ে অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কুলুপ এঁটেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব। মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এই সুযোগে বিরোধী কংগ্রেস বিদ্রুপ করতে ছাড়েনি। কংগ্রেসের বক্তব্য, সত্যি কথাটা বলে ফেলেছেন মন্ত্রী। বিজেপি সব কিছুই জোর করে চাপিয়ে দিতে চায়। এখন বিপদ বুঝে জিএসটিতে সংশোধনী আনতে চাইছে। প্রসঙ্গত, জিএসটি প্রয়োগ নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিএসটিকে স্বাগত জানালেও এই নিয়ে অহেতুক তাড়াহুড়ো করে ব্যবসায়ীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে বিজেপি মন্ত্রীর জিএসটি উপলব্ধি এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।