সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে হামলা নিয়ে সরগরম রাজনীতি। রাজ্যের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গতকালই রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নিজের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। সুত্রের খবর সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নাড্ডা-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্যের পুলিশ। এবং সার্বিকভাবে রাজ্যের নিরাপতার অবস্থা সন্তোষজনক নয়।
রাজ্যপালের এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজিপি বীরেন্দ্রকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাঁদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে হাজিরা দেওয়ার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সুত্রের খবর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে, রাজ্যের নিরাপত্তার দায় মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য কোনও ভিআইপির নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা যাবে না। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্রর কাছে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হবে। রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও সুত্রের খবর। প্রসঙ্গত, নাড্ডার সভায় হামলার জেরে উস্তি ও ফলতা থানায় দুটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সাতজনই গতকাল হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল সুত্রের খবর। গতকাল রাতভর তল্লাশি চালানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের বহু এলাকায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘স্রেফ মা দুর্গার কৃপায় সভায় পৌঁছতে পেরেছি’, হামলা নিয়ে তৃণমূলকে দুষলেন নাড্ডা]
এদিকে, গতকালের হামলার ঘটনার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফোন করেছিলেন। কৈলাস-সহ অন্যান্য নেতাদের খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কৈলাসকে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। হামলার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফোন করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।