শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: খাতায় কলমে রয়েছেন ফার্মাসিস্ট। কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ওষুধ দিচ্ছেন নাবালক! ঘটনাটি ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। বিষয়টিতে বেজায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেন ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাসিন্দা সাজিরুদ্দিন শেখ। অসুস্থ অবস্থায় অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক তাঁকে ওষুধ লিখে দেন। টিকিট নিয়ে তিনি ওষুধ আনতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্দিষ্ট কাউন্টারে যান। তখনই দেখেন, এক নাবালক ওষুধ দিচ্ছে। তিনি জিঞ্জাসা করেন ফার্মাসিস্ট কোথায়? সে কেন ওষুধ দিচ্ছে। সাজিরু্দ্দিনের কথায় হতভম্ব হয়ে পরে নাবালকটি। এদিকে বাকবিতণ্ডা শুনে পাশের রুম থেকে ছুটে আসেন ফার্মাসিস্ট মোজাহারুল ইসলাম। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন ওই নাবালক রোগীদের ওষুধ দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ছবি তুলতে গিয়ে আচমকাই আলগা হল মালাইকার ব্লাউজ! ভিডিও দেখে হইচই নেটপাড়ায়]
মোজাহারুল হক জানান, তিনিই নাকি দুই যুবককে রেখেছেন ওষুধ দিতে! সাফাই দিয়ে বলেন, "ওরা ভুল ওষুধ দিচ্ছে কিনা সেটা দেখুন।" এঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাজিরুদ্দিন শেখ। বলেন, "অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা নিজের কাজ বাদ দিয়ে আড্ডা দিতে ব্যস্ত। নাবালকদের দিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।" এ প্রসঙ্গে ফরাক্কা ব্লকের বিএমওএইচ মসিউর রহমান জানান, "এবিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" প্রসঙ্গত, অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চারজন চিকিৎসক, ছ'জন নার্স, চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও একজন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন।
