সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশ শতকে দাঁড়িয়েও চূড়ান্ত বর্বরতার সাক্ষি থাকল মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর। বাড়ির মেয়ে ফোনে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছে, স্রেফ এই সন্দেহে নাবালিকার উপর অমানবিক অত্যাচার চালাল পরিবারের চার সদস্য। প্রথমে বেধড়ক মারধর এবং পরে মেয়েটিকে নেড়া করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল প্রতিবেশীরা। যদিও ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
একুশ শতকে দাঁড়িয়ে ভারত। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের তালিকায় ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে দেশ। আধুনিক প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। দেশের প্রধানমন্ত্রী খোদ বলছেন, সমাজের চালিকাশক্তি মহিললারাই। মেয়েদের বাঁচাতে, তাঁদের শিক্ষিত করতে নিত্যনতুন প্রকল্প ঘোষণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ছেলে-মেয়ে সমান-সমান। তারপরেও এ ধরণের বর্বরতার ঘটনা দেশবাসীর একাংশের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।
[আরও পড়ুন : ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পোস্ট করে শিলচরে ধৃত বাঙালি অধ্যাপক]
মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের সান্দওয়া এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা। তাঁকে দিন কয়েক ফোনে কথা বলতে দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়। এপ্রসঙ্গে মেয়েটিকে বারবার জিজ্ঞেস করেও কোনও উত্তর মেলেনি। তাই তাকে ‘শাস্তি’ দিল তার পরিবার। পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ ছিল, কোনও ছেলের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির মেয়ে ফোনে কথা বলছে। আর তাই রাস্তায় ফেলে মেয়েটিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে চরম শাস্তিস্বরূপ তাকে নেড়া করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন : কেজরিওয়াল সরকারকে ধন্যবাদ, দেশদ্রোহিতা মামলার দ্রুত শুনানির আরজি কানহাইয়ার]
ঘটনার কথা জানতে পরে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। আলিরাজপুরের সাব-ডিভিশনার পুলিশ আধিকারিক ধীরজ বব্বর বলেন, “এফআইআর দায়ের হয়েছে। তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
The post ফোনে প্রেমালাপ! সন্দেহের বশে নাবালিকাকে নেড়া করে ‘শাস্তি’ দিল পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.