সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ বছরের এক বালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। তিনদিন ধরে ওই শিশুকন্যাটি নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাকে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে। যে ফ্ল্যাটে সে থাকত তার ঠিক উল্টো দিকের এক ফ্ল্যাটের জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের প্রশ্ন, কেন আবাসনের একহাজারটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর আগে সবচেয়ে কাছে থাকা বন্ধ ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি চালায়নি পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। মেয়েটির নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়ার পরই ১০০ জন পুলিশের একটি দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তাদের সঙ্গে ছিল ডগ স্কোয়াড। পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়েও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। শেষপর্যন্ত দেহটি উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
আপাতত রহস্য ঘনিয়েছে, একদম উল্টোদিকের ওই রহস্যময় তালাবন্ধ ফ্ল্যাট ঘিরে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সম্ভাব্য সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত চালাবে। কালো জাদু, ব্যক্তিগত আক্রোশ বা যৌন নির্যাতন- কোনও দিকই বাদ দেওয়া হবে না।
এক শিশুকন্যার এই মর্মান্তিক পরিণতিতে গোটা ভোপাল জুড়েই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ দেখিয়েছেন অনেকে। পুলিশের বিরুদ্ধে 'অপদার্থতা'র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অনেকেই। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসও প্রতিবাদে অংশ নিয়ে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অরুণ যাদবের কথায়, ''মধ্যপ্রদেশ কার্যতই দুঃস্বপ্নের এক রাজ্যে পরিণত হয়েছে যেখানে মেয়ে-বোনেরা নিরাপদ নয়।''
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে গত এক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি শিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। এক বেসরকারি স্কুলে ১৬ বছরের কিশোরের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে এক রসায়নের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এক স্কুলের এক ভ্যান চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বছর পাঁচেকের এক শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্তা করার।